দেশের এক সময়কার ই-কমার্স কোম্পানি ‘ধামাকা শপিংয়ের’ চেয়ারম্যান ডা. মুজতবা আলীকে (এম.আলী) প্রতারণা ও চেক জালিয়াতি মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল রোববার (৬ই জুলাই) ঢাকার মহানগর হাকিম রাকিবুল হাসান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতে ভাটারা থানার নন প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই মো. মোস্তফা হোসেন বলেন, ভাটারা থানা পুলিশ আসামি মুজতবা আলীকে আদালতে হাজির করে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
আবেদনে বলা হয়, ধামাকা শপিং ই-কমার্সের মাধ্যমে প্রতারিত ভুক্তভোগীরা শনিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে কোম্পানিটির চেয়ারম্যান এম আলীকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে। অনুসন্ধান ও অপরাধ ডেটার তথ্য সিডিএমএস পর্যালোচনায় তার বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর জেলার চেক জালিয়াতির মামলায় ৬ মাসের সাজার তথ্য পাওয়া যায়।
এছাড়া আরও মামলা থাকার তথ্য দিয়ে আবেদনে বলা হয়, ভুক্তভোগীর আটকের পর সেই তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানা এলাকায় ‘চরম উত্তেজনা’ বিরাজমান। এমতাবস্থায় তাকে জেলহাজতে আটক রাখা প্রয়োজন। পরবর্তী তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ গত ২৬শে জুন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ‘ধামাকা শপিংয়ের’ স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা প্রায় ৬২ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছে। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ই জুন ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ এসব সম্পত্তি জব্দের আদেশ দেন। এছাড়া গ্রাহকদের প্রায় ১১৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে এ আদেশ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ৪ বছর আগে ইকমার্সের মাধ্যমে একের পর এক প্রতারণার তথ্য সামনে এলে তখন অনলাইনে পণ্য কেনাবেচার প্ল্যাটফর্ম ধামাকা শপিংয়ের বিরুদ্ধেও কয়েকশ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ আনেন গ্রাহক ও পণ্য সরবরাহকারীরা। সে সময় প্রতারিত গ্রাহকরা কোম্পানিটির চেয়ারম্যানসহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেন।
টিএ/