বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
২০১৫ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নাশকতার ঘটনায় তিনটি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়েছিল। এক দশকের বেশি সময় পর সব কটি মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। রাজনৈতিক বিবেচনায় মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হয়েছে। এসব মামলার আসামিরা বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মী ছিলেন।
আজ সোমবার (৭ই জুলাই) বিকেলে কুমিল্লা আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) কাইমুল হক রিংকু মামলা প্রত্যাহারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
কাইমুল হক বলেন, ২০১৫ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে তৎকালীন সরকারের দায়ের করা মামলাগুলো রাজনৈতিক মামলা বিবেচনায় প্রত্যাহারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ঘটনায় জড়িত না থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে তিনটি মামলা থেকেই অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জানান, ২০১৫ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগমোহনপুরে একটি বাসে পেট্রলবোমা হামলার ঘটনায় আট যাত্রী নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করে পুলিশ। মামলায় খালেদা জিয়াসহ ৭৮ জনকে চার্জশিটের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ
গত বছরের ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দুই মামলার শুনানিতে খালেদা জিয়ার সম্পৃক্ততা প্রমাণ না হওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত–২–এর বিচারক সফিকুল ইসলাম তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। কারণ, ঘটনার সময় খালেদা জিয়া রাজধানীর গুলশানের বাসায় বালুর ট্রাক দ্বারা অবরুদ্ধ ছিলেন।
২০১৫ সালের ২৫শে জানুয়ারি চৌদ্দগ্রামের হায়দারপুর এলাকায় কাভার্ড ভ্যান পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় নাশকতার মামলায়ও বিএনপির চেয়ারপারসনসহ ৩২ জনকে আসামি করা হয়। পরে এ মামলায় আরও ১০ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়।
খবরটি শেয়ার করুন