বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল সাগর। ফাঁকা পড়ে রয়েছে কক্সবাজার সৈকত। দুর্ঘটনা এড়াতে তৎপরতা দেখা যায় ট্যুরিস্ট পুলিশের। আজ সোমবার (৭ই জুলাই) দুপুরে লাবণী পয়েন্টে। ছবি: সংগৃহীত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। চারদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে উত্তাল রয়েছে সাগর। আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজারসহ দেশের চার সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। এতে বিড়ম্বনায় পড়েছেন বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকতে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা।
আজ সোমবার (৭ই জুলাই) পর্যটক, হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনদিনের ছুটিতে কক্সবাজারে লাখো পর্যটকের সমাগম হয়েছিল। হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্টহাউসের ৯০ শতাংশ কক্ষও আগাম বুকিং ছিল। কিন্তু টানা বৃষ্টি ও সাগর উত্তাল থাকায় অনেক পর্যটক কক্ষ বুকিং বাতিল করেছেন।
কক্সবাজার হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান জানান, শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্টহাউসের অধিকাংশ কক্ষ খালি হয়ে গেছে। আজ দুপুরে পর্যটকদের বড় অংশ ফিরে গেছে।
টানা বৃষ্টির কারণে কক্সবাজারের পর্যটন এলাকা ও জেলার ৯ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সড়কে পানি উঠে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, কক্সবাজারে ৯ই জুলাই পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি থাকতে পারে। এতে পার্বত্য এলাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে।
খবরটি শেয়ার করুন