ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বের সুখী দেশগুলোর তালিকায় ডেনমার্ক টানা সাত বছর ধরে কখনো শীর্ষে, কখনো দু-এক পয়েন্ট হারিয়ে ওপরের দিকেই থাকছে। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এর অন্যতম কারণ হলো দেশটির শিশুদের বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়া। ডেনমার্কে শিশুদের শুধু গণিত, বিজ্ঞান বা ভাষা শেখানো হয় না; সঙ্গে ছোটবেলা থেকে শেখানো হয় সহমর্মিতা।
শিশুরা যেন অন্যের অনুভূতি বুঝতে পারে, সেগুলোকে শ্রদ্ধা করে এবং প্রয়োজনমতো পাশে দাঁড়ায়। এই শিক্ষাই তাদের সমাজে সুখ আর সহযোগিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে। খবর মাদারলি'র।
ডেনমার্কে শিশুরা কিন্ডারগার্টেন থেকে আবেগ নিয়ে পড়াশোনা শুরু করে। তারা শেখে, নিজের অনুভূতি কীভাবে প্রকাশ করতে হয়, সহপাঠীর অনুভূতি কীভাবে বুঝতে হয় এবং কোনো বন্ধু কষ্টে পড়লে কীভাবে তাকে সমর্থন জানাতে হয়।
আমেরিকার লেখিকা জেসিকা আলেক্সান্ডার ও ড্যানিশ সাইকোথেরাপিস্ট ইবেন স্যান্ডালের বই ‘দ্য ড্যানিশ ওয়ে অব প্যারেন্টিং’-এ বলা হয়েছে, ডেনমার্কের শিশুরা এভাবে বড় হয়ে আত্মবিশ্বাসী, সক্ষম ও সুখী প্রাপ্তবয়স্কে পরিণত হয়।
ডেনমার্কের শিশুদের সহমর্মিতার ক্লাসের অংশ হিসেবে চালু আছে ‘স্টেপ বাই স্টেপ’ নামের একটি বিশেষ প্রোগ্রাম। এখানে শিশুদের হাতে রাগ, দুঃখ, আনন্দ ইত্যাদি আবেগ প্রকাশ করা ছবিযুক্ত কার্ড দেওয়া হয়। শিশুদের শুধু আবেগ চিনতে বলা হয় না, বরং তাদের বলতে হয়, সেই আবেগ তাদের কাছে কী অর্থ বহন করে।
ফলে তারা শুধু আবেগের নাম শেখে না, সেই সঙ্গে শেখে অন্যের অনুভূতি কেমন হতে পারে। এই শিশুদের কোনো আবেগকে ভালো বা খারাপ বলে বিচার করতে শেখানো হয় না; বরং আবেগগুলোকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে শেখানো হয়।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন