সোমবার, ১লা সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ‘নির্বাচন কমিশন সার্ভিস’ গঠনে সিইসির আশ্বাস *** তিন দলের তিন মত, ফেব্রুয়ারিতেই ভোট করতে অনড় সরকার *** চীন সফর শেষে দেশে ফিরলেন এনসিপির নেতারা *** মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতিকে ধারণ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে: হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ *** কেউ যদি নির্বাচনের বিকল্প নিয়ে ভাবে, সেটা হবে জাতির জন্য গভীর বিপজ্জনক: প্রধান উপদেষ্টা *** জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে আলোচনা হয়নি: বিএনপি *** ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হাজারো মানুষের বিক্ষোভ *** ট্রাম্পের শুল্কের যে প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের ১৫ হাজার গার্মেন্টসে *** বিস্ফোরণ-গুলি-ড্রোনের শব্দকে শ্রুতিমধুর সংগীতে রূপান্তর করছেন গাজার শিল্পী *** অশান্ত বিশ্বে সি–মোদির বন্ধুত্বের বার্তা

বিড়ালপ্রেমীদের জন্য সুখবর, এটি পুষলে পাওয়া যায় মানসিক ও শারীরিক উপকারিতা

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, ২৮শে আগস্ট ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

ভোররাতে আমাদের ঘুম ভাঙিয়ে খাবারের জন্য ডাকাডাকি করা কিংবা সদ্য পরিষ্কার করা কার্পেট হঠাৎ উল্টে দেওয়া! এসব ঝামেলা সত্ত্বেও বিশ্বজুড়ে কোটি মানুষ বিড়ালকে নিজেদের পরিবারের অংশ করে নিয়েছে। আমেরিকায় প্রায় ৪৯ মিলিয়ন পরিবারে অন্তত একটি করে বিড়াল আছে।

কিন্তু কীভাবে? শুধু আদরের প্রাণী বলেই কি? নাকি এর পেছনে কোনো ব্যাখ্যা আছে? গবেষকেরা বলছেন, বিড়ালেরা শুধু আদরের পোষা প্রাণীই নয়, এটি মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে। তথ্যসূত্র হেলথলাইন।

বিড়ালের সঙ্গে সময় কাটানো আমাদের মানসিক সুস্থতার জন্য উপকারী। বিড়াল একদিকে সঙ্গ দেয়, অন্যদিকে আমাদের একাকিত্ব ও নিঃসঙ্গতা দূর করে।

তাদের খুনসুটি, খেলাধুলা বা হঠাৎ মজার কাণ্ডকারখানা আমাদের মুখে হাসি ফোটায়। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বিড়াল পোষেন, তারা অন্যদের তুলনায় অনেক কম একাকিত্ব অনুভব করেন। বিড়ালের স্বভাব-চরিত্র শান্ত বা বন্ধুত্বপূর্ণ হলে মানুষ তাদের প্রতি আরও বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠে।

আধুনিক সমাজে বিড়াল এখন পরিবারের সদস্য। এক জরিপে দেখা গেছে, ৮২ শতাংশ মানুষ তাদের পোষ্যকে নিজের সন্তানের মতো মনে করে; বিশেষ করে মিলেনিয়াল ও জেন-জি প্রজন্ম বিড়ালকে পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ করে নিয়েছে।

বিড়ালের উপস্থিতি শুধু মনের শান্তিই আনে না, শরীরের ভেতরের হরমোনগত পরিবর্তনেও প্রভাব ফেলে। বিড়ালের সঙ্গে সময় কাটালে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা কমে।

এই হরমোন দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ তৈরি করে। এ ছাড়া বিড়ালের সংস্পর্শে হৃৎস্পন্দন ও রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। মাত্র ১০ মিনিট বিড়ালের সঙ্গে খেলা করলেই মন শান্ত হয় এবং শরীর দ্রুত স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসে।

এক গবেষণায় ১২০ দম্পতি মানসিক চাপ মাপার পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। তাতে দেখা গেছে, বিড়ালমালিক দম্পতিদের হৃৎস্পন্দন তুলনামূলকভাবে কম, রক্তচাপ স্বাভাবিক ও মানসিক চাপের পরিস্থিতিতেও তারা স্বাভাবিক ছিলেন। গবেষকেরা জানান, বিড়ালমালিক দম্পতিরা চ্যালেঞ্জকে হুমকি হিসেবে নয়, বরং ইতিবাচকভাবে দেখেছেন।

মানুষের সঙ্গে বিড়ালের যে বন্ধন তৈরি হয়, তা আমাদের সামাজিক সম্পর্কেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিড়ালমালিকেরা সাধারণত বেশি উদার, কৌতূহলী ও কল্পনাপ্রবণ হয়ে থাকেন। 

তবে তারা অনেক সময় অন্তর্মুখীও হতে পারেন, সেটিও খারাপ কিছু নয়। বিড়াল বিশেষ করে সামাজিক উদ্বেগে ভোগা মানুষের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার ভরসা হয়ে ওঠে। বিড়াল থাকলে দৈনন্দিন জীবনে একটি রুটিন তৈরি হয়, যা মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক।

বিড়াল শুধু মনের শান্তিই আনে না, শরীরও ভালো রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে—বিড়াল হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। মন খারাপ বা হতাশা কমাতে পারে। এমনকি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতেও ভূমিকা রাখে।

এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে অনেক বিড়ালমালিক তাদের বিড়াল বাইরে নিয়ে যান। এতে বিড়াল নিরাপদে বাইরের পরিবেশ উপভোগ করতে পারে, আর মালিকও প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটানোর সুযোগ পান।

জে.এস/

বিড়াল

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন