মঙ্গলবার, ৮ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** কারাবন্দী সাংবাদিকদের জামিন চেয়ে অর্ধশতাধিক সাংবাদিকের বিবৃতি *** মালয়েশিয়া যাচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, কথা হতে পারে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের নিয়ে *** ফারজানা রুপা ও শাকিল আহমেদকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে জাতিসংঘকে ব্যাখ্যা দিল সরকার *** ১৫–৩৫ বছর বয়সীদের সমর্থনে সবচেয়ে এগিয়ে বিএনপি: জরিপ *** পুতিন বরখাস্ত করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে রুশ মন্ত্রীর... *** সাগরে লঘুচাপ, কক্সবাজারে পর্যটকদের হোটেল বুকিং বাতিল *** যৌতুকের মামলায় বাধ্যতামূলক মধ্যস্থতার বিধান পুনর্বিবেচনার আহ্বান মহিলা পরিষদের *** নাশকতার তিন মামলা থেকে খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি *** আনিসুল ইসলাম, রুহুল আমিন ও মুজিবুল হককে অব্যাহতি দিলেন জি এম কাদের *** যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে ব্যাংক একীভূতের বিষয়টি পর্যালোচনা করা হবে: গভর্নর

কিডনি রোগীদের ত্বকে চুলকানি হলে করণীয়

স্বাস্থ্য ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, ৫ই জুলাই ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

চুলকানি এমন এক অনুভূতি, যা শরীরে আঁচড়ে দিতে ইচ্ছা জাগায়। সব মানুষের অনুভূতির মাত্রা ও সংবেদনশীলতা এক রকম নয়। ফলে অল্প সমস্যার কারণেও বেশি চুলকানি অনুভূত হয়। চর্মরোগ ছাড়াও অনেক সাধারণ কারণ এবং বিভিন্ন অঙ্গের রোগের বহিঃপ্রকাশ চুলকানির মাধ্যমে শুরু হতে পারে।

আলোক হেলথ কেয়ারের সিনিয়র কনসালট্যান্ট এবং চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের শরীরে সিকেডিতে বেশি চুলকানি হয়। ২০ থেকে ৮০ শতাংশ রেনাল ফেইলিউর রোগীর চুলকানি হয়। এ ধরনের রোগীর পুরো শরীরে তীব্র চুলকানি হয়। ডায়ালাইসিসের রোগীদেরও চুলকানি হয়। তবে সেটা হয় ক্যাথেটারের পাশে, পায়ে, মুখমণ্ডলে।

তিনি জানান, যে কোনো চুলকানির মূল কারণ হিস্টামিন ও বিভিন্ন নিউরো দন্ত মিটার নিঃসরণ। কিডনি রোগীদের চুলকানি হওয়ার অনেক কারণ আছে। সেগুলোর মধ্যে ত্বকের শুষ্কতা, আয়রনের অভাবজনিত রক্তাল্পতা, হাইপার প্যারাথাইরয়েডিজম, হাইপার ভিটামিনসিস ইত্যাদি। সিকেডি রোগীর ক্ষেত্রে লাইকেন সিমপ্লেক্স ক্রনিকাস, প্রুরিগো নোডুলারিস, অ্যাকয়ার্ড পারফরেটিং ডিজিস ইত্যাদি কারণে চুলকানি আরও বেড়ে যেতে পারে।

চুলকানির চিকিৎসা বা করণীয় সম্পর্কে ডা. মোশাররফ হোসেন বলেন, নিয়মিত ইমোলিয়েন্ট ক্রিম যা লোশন, ময়শ্চারাইজার, ওয়াই লিনোলেনিক অ্যাসিড ক্রিম, জলপাই তেল ও বেবি অয়েল ব্যবহার করতে হবে। কখনো কখনো স্টেরয়েড ক্রিম ব্যবহার করতে হয়। সোকিং ও স্মেরিং পদ্ধতির চিকিৎসায় ভালো ফল পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, এই পদ্ধতিতে আক্রান্ত স্থান সহনীয় মাত্রার গরম পানিতে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে ভেজা অবস্থাতেই ট্রায়ামসিনোলোন ক্রিম লাগাতে হবে প্রতিদিন রাতে—এক সপ্তাহ। চুলকানির জন্য যে কোনো অ্যান্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া ইউভিবি থেরাপিতে ভালো ফল পাওয়া যায়। সিকেডি রোগীদের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ছাড়াও নিয়মিত কিডনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে দীর্ঘ মেয়াদে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ জীবন যাপন করা যায়।

জে.এস/

চর্মরোগ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন