ছবি: সংগৃহীত
রংপুরের গঙ্গাচড়ার বেতগাড়ী ইউনিয়নের আলদাদপুর ছয়আনি এলাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বসতবাড়িতে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার তাদের রিমান্ড শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। আজ বুধবার (৩০শে জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে গঙ্গাচড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে আসামিদের তোলা হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
বিচারক কৃষ্ণ কমল রায় আগামীকাল রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে পাশের নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিন ৯টার দিকে ভুক্তভোগী রবীন্দ্রনাথ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১ হাজার ২০০ জনের বিরুদ্ধে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা করেন।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সিংগেরগাড়ি মাঝাপাড়া গ্রামের ইয়াছিন আলী (২৫), একই উপজেলার মাগুড়া শ্রীপাড়ার স্বাধীন মিয়া (২৮), দক্ষিণ চাদখানা মায়াপাড়ার আশরাফুল ইসলাম (২৮), উত্তর সিংগেরগাড়ি পাঠানপাড়ার এস এম আতিকুর রহমান খান আতিক (২৮) ও দক্ষিণ সিংগেরগাড়ি চওড়াপাড়ার সাদ্দাম হোসেন সেলিম (২২)।
পুলিশ জানায়, গত শনিবার (২৬শে জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মহানবী (সা.)-কে কটূক্তি করে আলদাদপুর ছয়আনি গ্রামের এক হিন্দু কিশোর পোস্ট দেয়। বিষয়টি ভাইরাল হলে স্থানীয় মুসলিম জনতার মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু এরপর থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। প্রথমে একটি মিছিল কিশোরের বাড়ির সামনে অবস্থান নেয়। রাত ১০টার দিকে তার এক স্বজনের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়।
পরদিন রোববার দুপুরে সাইবার সুরক্ষা আইনে মামলা দিয়ে কিশোরকে আদালতের মাধ্যমে কিশোর পুনর্বাসনকেন্দ্রে পাঠানো হয়। এরপর ওই দিনই নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার সিংগেরগাড়ি পারেরহাট, বাংলাবাজার, মাগুড়া ও গঙ্গাচড়া থানা এলাকার খলেয়া, বেতগাড়ীসহ অন্যান্য এলাকার জনতা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কটূক্তিকারীর ফাঁসির দাবিতে মিছিল বের করে। শেষে হিন্দুপল্লির বাড়িঘরে ভাঙচুর করে।
খবরটি শেয়ার করুন