বৃহস্পতিবার, ৩১শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৬ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে পর্তুগাল *** রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে উভয় কক্ষের সদস্যদের গোপন ভোটে *** ১৮৫ বছরের পুরোনো বুনো মহিষের শিং পাহাড়পুর জাদুঘরে হস্তান্তর *** প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের ৩৬তম সভা অনুষ্ঠিত *** শিক্ষকের বিকল্প হবে চ্যাটজিপিটি *** শক্তি ও মালিকানা যার হাতে, তাকেই ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে: মির্জা ফখরুল *** পিআর পদ্ধতিতে হবে ১০০ সংসদীয় আসনের উচ্চকক্ষ, ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত *** কিছু দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা: আইন উপদেষ্টা *** গোপালগঞ্জে কোনো প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি: সেনাসদর *** বিপুল বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ট্রাম্পের শুল্ক ১৫ শতাংশে নামাল দ. কোরিয়া

‘আমি আধুনিক পুলিশ, সাংবাদিকদের ভয় করে চলি না’

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১১:২৪ অপরাহ্ন, ৩০শে জুলাই ২০২৫

#

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ থানার ওসি মো. আশরাফুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

রংপুরের গঙ্গাচড়ার আলদাদপুর ছয়আনি হিন্দুপল্লিতে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন রংপুরের দুই সংবাদকর্মী। আজ বুধবার (৩০শে জুলাই) বেলা ৩টার দিকে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফুল ইসলাম তাদের গালাগাল করেন ও গ্রেপ্তারের হুমকি দেন। তারা হলেন- দৈনিক কালবেলার রংপুর প্রতিনিধি রেজওয়ান রনি এবং প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক জহির রায়হান।

দুই সাংবাদিক জানান, গত রোববার গঙ্গাচড়ার পাশের কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নসংলগ্ন এলাকায় মাইকিং করে সিঙ্গেরগাড়ি বাংলাবাজারে হাজারো মানুষকে জমায়েত করা হয়। পরে সেখানে উত্তেজিত জনতা হিন্দুপল্লিতে হামলা চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ঘটনাস্থলের আশপাশে কিশোরগঞ্জ থানার ৪-৫ জন পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে ওসির বক্তব্য নিতে গেলে ঘটে অপ্রীতিকর ঘটনা। থানার সামনের গোলঘরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনে ওসি আশরাফুল ইসলাম প্রথমে ঘটনাটি অস্বীকার করেন এবং পরে রূঢ় ভাষায় জবাব দেন। একপর্যায়ে ওসি বলেন, ‘উসকানি দিতে আসছেন এরা। উসকানি দিচ্ছেন আপনারা। মিয়া সব খবর আছে আপনাদের উসকানি দেওয়ার। আপনাদের যোগ্যতা থাকলে ভালো জায়গায় কিছু করতেন। এভাবে উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করতেন না।’

ওসি এ সময় সাংবাদিক রেজওয়ান রনিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘চোখ দিয়ে এভাবে তাকাচ্ছেন কেন?’ অন্য পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘ধরেন তো এদের।’

পাশে থাকা এসআই মহসিন বিষয়টি মিটমাটের চেষ্টা করলে ওসি তাকে নির্দেশ দেন, ‘এই পুলিশ ডাকেন, এদের ধরেন। প্ল্যান করছেন দুজনে, প্রমাণ আছে আমার কাছে।’

এসআই মহসিন পরে দুই সাংবাদিককে থানা থেকে নিরাপদে বের করে নিয়ে যান। তখনো ওসি গালাগাল করতে থাকেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী দুই সাংবাদিকের।

ঘটনার বিষয়ে নীলফামারী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রিপন শেখ ওসির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি আধুনিক পুলিশ, সাংবাদিকদের ভয় করে চলি না। এসপি, ডিআইজি কিংবা আইজির কাছে অভিযোগ করে যদি আমার চাকরি যায়, তাহলে সে চাকরি করব না। দুষ্কৃতকারীর স্থান আমার কাছে নেই, সাংবাদিক হোক, পুলিশ অফিসার হোক আর রাজনীতিবিদ হোক। যদি ফাইজলামো করে, পিটিয়ে সোজা করে দেব একেবারে।’

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরপিইউজে) সভাপতি সালেকুজ্জামান সালেক। তিনি বলেন, ‘এটি শুধু সাংবাদিক লাঞ্ছনা নয়, গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার শামিল। দায়িত্বরত সাংবাদিকদের অপমান ও গ্রেপ্তারের হুমকি ফ্যাসিস্ট আচরণের উদাহরণ। জড়িত ওসিকে প্রত্যাহার ও বিভাগীয় শাস্তির আওতায় না আনলে সাংবাদিক সমাজ আন্দোলনে নামবে।’

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ওসি মো. আশরাফুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

আশরাফুল ইসলাম

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন