সোমবার, ১৪ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩০শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ১০০ গজ দূরেই ক্যাম্প, তবু সোহাগকে বাঁচাতে কেন এল না কেউ—যা বললেন আনসারপ্রধান *** গণভবনকে বাস্তিল দুর্গের সঙ্গে 'তুলনা' করলেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত *** শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে সমতায় ফিরল বাংলাদেশ *** বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ম্যুরাল ভেঙে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিসৌধ’ নির্মাণকাজের উদ্বোধন কাল *** শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় নেপালকে হারাল বাংলাদেশ *** মোসাদের হয়ে কাজ করতেন যৌন অপরাধী এপস্টেইন: কার্লসন *** মিয়ানমারে উলফার ক্যাম্পে ভারতের ড্রোন হামলার অভিযোগ, প্রতিশোধের হুমকি সংগঠনটির *** যশোরে কেন্দ্রের ভুলে বিজ্ঞানের ৪৮ জন ফেল, সংশোধনে জিপিএ-৫ পেল সবাই *** নিবন্ধন স্থগিত হলেও ‘নৌকা’ আওয়ামী লীগেরই *** ইসরায়েলের হামলায় আহত হন ইরানের প্রেসিডেন্টও, বেঁচে যান অল্পের জন্য

পুরুষের পেরোনিজ ডিজিজ কী, কেন হয় এবং চিকিৎসা

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৯:০৭ অপরাহ্ন, ১৩ই জুলাই ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

পুরুষাঙ্গে দুটি দণ্ড আকৃতির প্রসারণশীল অংশ থাকে, যার চারপাশ টিউনিকা অ্যালবুজিনিয়া নামক একটা শক্ত টিস্যু দ্বারা আবৃত থাকে। এই শক্ত জিনিসটাই পুরুষাঙ্গের উত্থান অবস্থা ধরে রাখে। নানা কারণে এই টিস্যুর উপরিভাগটায় বিভিন্ন আকৃতির শক্ত গুটির মতো দানা দেখা দেয়। একে পেরোনিজ ডিজিজ বলে।

সাধারণভাবে ৩ থেকে ২০ শতাংশ পুরুষ এই রোগে ভোগেন। বিশেষ করে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের এই রোগ হওয়ার বেশি প্রবণতা বেশি। খুব সূক্ষ্ম আঘাতের কারণে পুরুষাঙ্গে এই রোগের শুরু বলে মনে করা হয়। এই রোগের দুটি স্তর বা পর্যায় আছে। একটা হলো অ্যাকটিভ, আরেকটি ক্রনিক ফেজ।

প্রথম পর্যায়ে ব্যথা থাকে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আর ব্যথা থাকে না বরং শক্ত গুটির ব্যাপ্তি বেড়ে যেতে পারে। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পাথুরি জমতে পারে বা পুরুষাঙ্গের বিকৃতি ঘটতে থাকে, যা কী না পরবর্তী সময়ে যৌনক্রিয়ায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। শেষ অবধি পুরুষত্বহীনতা পর্যন্ত হতে পারে।

রোগটি ৪০-৫০ বছরের দিকে বেশি হয়, যদিও যে কোনো বয়সেই হতে পারে। ডায়াবেটিস থাকলে ঝুঁকি বেশি। অনেকের ধারণা যে এটা এমনিতেই সেরে যাবে, কিছু করতে হবে না। ব্যাপারটা আসলে মোটেই তা নয়। রোগের শুরুতে সঠিক চিকিৎসা নিলে জটিলতা অনেকাংশে এড়ানো যেতে পারে। যেহেতু কী কারণে এই অবস্থা ঘটে, তার প্রকৃত কারণ জানা যায় না, তাই এর প্রতিকার বা প্রতিরোধটাও বেশ জটিল।

যাদের আগে থেকেই ডায়াবেটিস রোগ ছাড়াও যৌন দুর্বলতা আছে, যারা মানসিকভাবে দুর্বল, যৌনাঙ্গ ছোট বা রক্তে সেক্স হরমোনের পরিমাণ কম, যারা আরও কিছু কোলাজেন ডিজঅর্ডারে ভোগেন, তাদের ক্ষেত্রে এই রোগের প্রাদুর্ভাব একটু বেশি। একজন অভিজ্ঞ ইউরোলজিস্ট দেখে ও ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা করে রোগ শনাক্ত করতে পারবেন। তবে আনুষঙ্গিক কিছু পরীক্ষা যেমন এক্স-রে বা কালার ডপলার আলট্রাসনোগ্রাম করা যেতে পারে।

চিকিৎসা

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসা দরকার হয়। যেসব ক্ষেত্রে ওষুধ কার্যকর নয়, অথচ ক্রমেই পুরুষাঙ্গের বিশেষ বিকৃতি ঘটছে, যাতে যৌনক্রিয়ায় সমস্যা হচ্ছে বা সঙ্গম অত্যন্ত বেদনাদায়ক হচ্ছে, সেসব ক্ষেত্রে সার্জারির প্রয়োজন আছে। রোগীকে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ইউরোলজিস্টের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে।

পুরুষের রোগ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন