সোমবার, ১৪ই জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩০শে আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ১০০ গজ দূরেই ক্যাম্প, তবু সোহাগকে বাঁচাতে কেন এল না কেউ—যা বললেন আনসারপ্রধান *** গণভবনকে বাস্তিল দুর্গের সঙ্গে 'তুলনা' করলেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত *** শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে সমতায় ফিরল বাংলাদেশ *** বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ম্যুরাল ভেঙে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিসৌধ’ নির্মাণকাজের উদ্বোধন কাল *** শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় নেপালকে হারাল বাংলাদেশ *** মোসাদের হয়ে কাজ করতেন যৌন অপরাধী এপস্টেইন: কার্লসন *** মিয়ানমারে উলফার ক্যাম্পে ভারতের ড্রোন হামলার অভিযোগ, প্রতিশোধের হুমকি সংগঠনটির *** যশোরে কেন্দ্রের ভুলে বিজ্ঞানের ৪৮ জন ফেল, সংশোধনে জিপিএ-৫ পেল সবাই *** নিবন্ধন স্থগিত হলেও ‘নৌকা’ আওয়ামী লীগেরই *** ইসরায়েলের হামলায় আহত হন ইরানের প্রেসিডেন্টও, বেঁচে যান অল্পের জন্য

মোসাদের হয়ে কাজ করতেন যৌন অপরাধী এপস্টেইন: কার্লসন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৯:৫৩ অপরাহ্ন, ১৩ই জুলাই ২০২৫

#

কুখ্যাত যৌন নিপীড়ক ও নারী পাচারকারী জেফরি এপস্টেইন। ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকার ডানপন্থী রাজনৈতিক ভাষ্যকার টাকার কার্লসন এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, কুখ্যাত যৌন নিপীড়ক ও নারী পাচারকারী জেফরি এপস্টেইন ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের হয়ে কাজ করতেন। এপস্টেইন যখন কিশোরী মেয়েদের ওপর যৌন নির্যাতন ও তাদের পাচারের কাজ করছিলেন, তখন থেকেই তিনি মোসাদের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করেছেন কার্লসন। সাবেক ফক্স নিউজ উপস্থাপক কার্লসনের এই মন্তব্য আমেরিকায় চলমান এপস্টেইন বিতর্কের আগুনে যেন আরও ঘি ঢেলে দিল। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।

গত শুক্রবার (১১ই জুলাই) টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএর স্টুডেন্ট অ্যাকশন সামিটে বক্তব্য দেওয়ার সময় কার্লসন বলেন, এপস্টেইনের বিষয়ে প্রকৃত প্রশ্ন হওয়া উচিত—তিনি কার পক্ষে এসব করছিলেন এবং অর্থ আসছিল কোথা থেকে। তার মতে, এপস্টেইন সম্ভবত আমেরিকান নন, কোনো বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে কাজ করতেন।

কার্লসনের ভাষ্য, সবাই জানেন, কিন্তু কেউ বলতে চান না—সেই বিদেশি সরকার হলো ইসরায়েল। তিনি বলেন, ‘আমরা এমনভাবে চুপ হয়েছি, যেন ইসরায়েলের নাম নিলেই সেটা ঘৃণার কথা হয়ে যায়। অথচ ইসরায়েলের নাম বলাটা কোনো ঘৃণার কাজ নয়, এমনকি এটা ইসরায়েলবিরোধীও নয়।’

এপস্টেইনের জীবন ও মৃত্যু আবার আলোচনায় এসেছে। কারণ, ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি বিচার বিভাগের তদন্তসংক্রান্ত কিছু নথি প্রকাশ থেকে বিরত থাকে এবং জানায় যে, এপস্টেইনের ‘ক্লায়েন্ট লিস্ট’ বলে আদতে কিছু ছিল না। এই সিদ্ধান্তে ট্রাম্পপন্থী রক্ষণশীলদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, যারা মনে করেন ‘ডিপ স্টেট’ বা অভ্যন্তরীণ গভীর শক্তিগুলো এ বিষয়ে তথ্য গোপন করছে।

কার্লসন বলেন, ‘কেউ জেফরি এপস্টেইনকে জিজ্ঞাসাও করেনি—তোমার বাড়িতে কেন সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী থাকতেন? বিদেশি সরকারের সঙ্গে তোমার এত কিসের যোগাযোগ?’

তার ভাষ্যমতে, ইসরায়েলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এহুদ বারাক ২০১৩ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে প্রায় ৩০ বার এপস্টেইনের ফ্লোরিডা ও নিউইয়র্কের বাড়িতে এসেছেন। তবে বারাক ওবামা ছাড়াও এপস্টেইনসংশ্লিষ্ট নথিতে আছেন আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার, প্রিন্স অ্যান্ড্রু, মাইকেল জ্যাকসন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও।

কার্লসনের দাবি, ‘ওয়াশিংটন ডিসির প্রতিটি মানুষ মনে করেন, এপস্টেইন মোসাদের হয়ে কাজ করতেন। আমি কখনো এমন কাউকে দেখিনি যে, ভিন্নমত পোষণ করেন।’ তবে এ ব্যাপারে তিনি কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। কার্লসন আরও দাবি করেন, ইসরায়েল সরকার কখনো এপস্টেইন-সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেয়নি, যদিও তিনি ইসরায়েলের নাগরিক ছিলেন না।

জে.এস/

জেফরি এপস্টেইন

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন