শনিবার, ২৬শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১১ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাথরের টুকরো নিলামে, দাম ৬৫ কোটি টাকা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৬:৩৫ অপরাহ্ন, ২৫শে জুলাই ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

শিরোনাম দেখেই হয়তো অনেকের চোখ কপালে ওঠার মতো অবস্থা! পাথরের দাম এত হয় কীভাবে! কোন জিনিসের দাম কত হবে, তার নির্ধারণ করা হয় সেই জিনিসের গুরুত্ব বুঝে। বুঝতেই পারছেন, এটি সাধারণ কোনো পাথর নয়। পাথরটি পৃথিবীতে এসেছে প্রায় ২৫ কোটিরও বেশি কিলোমিটার দূরের মঙ্গল গ্রহ থেকে। পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত পাওয়া মঙ্গল গ্রহের সবচেয়ে বড় উল্কাপিণ্ড এটি।

নাম তার এনডাব্লিউএ ১৬৭৮৮। এটি বিরল, মূল্যবান এবং বিজ্ঞানীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মহাজাগতিক বস্তু। এর ওজন ২৪ দশমিক ৫ কেজি বা প্রায় ৫৪ পাউন্ড। তুলনা করলে বোঝা যায়, সাধারণত মঙ্গল থেকে আসা উল্কাপিণ্ডগুলো খুবই ছোটখাটো, এক বা দুই কেজি বা তারও কম ওজনের হয়ে থাকে। তথ্যসূত্র সিএনএন ও ন্যাশনাল জিওগ্রাফির।

২০২৩ সালের নভেম্বরে আফ্রিকার নিগার দেশের দূরবর্তী আগাদেজ অঞ্চলে এটি আবিষ্কৃত হয়। তারপর এটি আমেরিকার নিউইয়র্কের বিখ্যাত নিলামঘর সোথেবি’স-এ তোলা হয়। ২০২৫ সালের জুলাই মাসে এক গোপন পরিচয়ের সংগ্রাহক পাথরটি ৫.৩ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৬৫ কোটি টাকা দিয়ে কিনে নেন, যা একে বিশ্বের সবচেয়ে দামী মঙ্গলজাত উল্কাপিণ্ড হিসেবে স্থান দেয়।

সোথেবি’স-এর বিজ্ঞান ও প্রাকৃতিক ইতিহাস বিভাগের ভাইস চেয়ারম্যান ক্যাসান্দ্রা হ্যাটন এক বিবৃতিতে জানান, এমন উল্কাপিণ্ড পাওয়ার ঘটনা এক প্রজন্মে একবারই ঘটে। এই আবিষ্কার আমাদের সরাসরি মঙ্গলগ্রহের বিশালতা, রঙ এবং অবিশ্বাস্য গঠন সম্পর্কে জানতে অনেক সাহায্য করেছে। এটি না পেলে হয়তো এই তথ্যগুলো পেতে আমাদের অনেক সময় অপেক্ষায় থাকতে হতো।

বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, লাখ লাখ বছর আগে মঙ্গলগ্রহে একটি বিশাল গ্রহাণুর আঘাতে পাথরটি ছিটকে মহাকাশে চলে যায়। সেই সংঘর্ষ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে, পাথরের কিছু অংশ গলে কাঁচে পরিণত হয়। পরবর্তীতে সেটি পৃথিবীর দিকে ভেসে আসে এবং বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে মাটিতে আছড়ে পড়ে। প্রবেশের সময় উচ্চ তাপে এর উপরিভাগে গলিত কাচের মতো একটি চকচকে আবরণ তৈরি হয়, যা আজও স্পষ্টভাবে দেখা যায়।

জে.এস/

নিলাম

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন