ছবি: সংগৃহীত
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে ভোটারদের আস্থা, তাদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসা, সোশ্যাল মাধ্যম ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে অপতথ্যের প্রচার বন্ধ করা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আজ শনিবার (২৬শে জুলাই) সকালে খুলনায় আঞ্চলিক নির্বাচনী কার্যালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেছেন।
সিইসি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত অপতথ্য—মিস ইনফরমেশন ছড়িয়ে দেওয়া হয়; যা দ্রুত সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে হুবহু ভিডিও-ভয়েস তৈরি করা হচ্ছে। এআই প্রযুক্তি এখন অস্ত্রের চেয়ে ভয়ংকর হয়ে উঠেছে। মডার্ন যুগে মডার্ন থ্রেট বহুবিধ ও নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে আমরা এগোচ্ছি। এ ধরনের অপপ্রচারের কারণে ইউরোপের একটি দেশে ভোট স্থগিত করারও ঘটনা ঘটেছে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘সবার সহযোগিতায় আমরা জাতিকে একটি ভালো নির্বাচন উপহার দিতে চাই, এটা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। বিদ্যমান আইন না বদলানো পর্যন্ত আগের নিয়মেই নির্বাচন হবে। আমরা রাতের বেলায় কিছু করতে চাই না, সবকিছু দিনের স্বচ্ছ আলোয় হবে। আমরা যদি মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করতে পারি, গণ-অভ্যুত্থান করতে পারি, তাহলে একটি স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারব না?’
এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘জীবন যদি ফজর থেকে মাগরিব হয়, তাহলে আমি আমার জীবনের আছর পর্যন্ত এসে গেছি। তাই এমন কিছু করতে চাই না, যা আমাকে কলঙ্কিত করবে। ব্যক্তিগত লক্ষ্য বা স্বার্থ নয়, বরং দেশের জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করে যেতে চাই। তবে এটি শুধু আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়, এতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা নির্বাচন কমিশনাররা অত্যন্ত আন্তরিকতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছি।’
কবে নাগাদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলে আপনারা জানতে পারবেন কবে নির্বাচন হবে, তার আগে বলা সম্ভব নয়। এ ছাড়া যখন নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা হবে, তখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নির্বাচন কমিশনের অধীনে আসবে।’
খবরটি শেয়ার করুন