ছবি: এফটির সৌজন্যে
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে ভাবছে রাশিয়া। এমনটাই জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। গতকাল শুক্রবার (২৫শে জুলাই) তিনি জানিয়েছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসরায়েলসহ মধ্যপ্রাচ্য সংকটের সমাধান সম্ভব। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমেই ইসরায়েলের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য সংকটের সমাধান সম্ভব। এর আগে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফ্রান্স আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে।
পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাশিয়া সব সময়ই ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধানের ভিত্তি হিসেবে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের পক্ষে ছিল।’ মস্কো ১৯৮৮ সালেই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার ঘোষণাকে সমর্থন করে স্বীকৃতি দিয়েছিল। পেসকভের মতে, শান্তি ‘কেবল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনা মেনে চলার মাধ্যমেই অর্জন করা সম্ভব।’
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একাধিক প্রস্তাবনায় পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলি দখলদারত্বকে অবৈধ ঘোষণা করেছে এবং গাজায় যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির ওপর চাপ বাড়ছে। এরই মধ্যে এই দাবিতে দেশটির ৯টি রাজনৈতিক দলের ২২০ জন এমপি প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের মোট এমপির এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি এই দাবিতে সমর্থন জানিয়েছেন। এসব এমপিদের আবার বেশিরভাগই লেবার পার্টির সদস্য। তারা যুক্তি দিয়ে বলেছেন, ফিলিস্তিনকে ব্রিটেনের স্বীকৃতি ‘শক্তিশালী’ বার্তা দেবে এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে।
ফ্রান্স কয়েক মাসের মধ্যে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর এই চিঠিটি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এবং জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ ম্যার্ৎসের সঙ্গে জরুরি ফোনকলের পর কিয়ার স্টারমার এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া এক ‘বিস্তৃত পরিকল্পনার’ অংশ হতে হবে, যা শেষ পর্যন্ত দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানে রূপ নেবে।
খবরটি শেয়ার করুন