ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুজন শিক্ষার্থী জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে ছুটি পাচ্ছে। আজ শনিবার (২৬শে জুলাই) যেকোনো সময় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের কাছে দেওয়া হবে। ইনস্টিটিউটের একাধিক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে এটা জানা গেছে।
এই প্রথম মাইলস্টোনের কোনো শিক্ষার্থী চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। যারা হাসপাতাল থেকে ছুটি পাচ্ছে, তাদের একজনের নাম রাফসি। অন্য জনের নাম আয়ান। তাদের দুজনের বয়স ১২ বছর। তবে তারা কে কোন ক্লাসে পড়ে, তা চিকিৎসকদের জানা নেই।
এই দুই শিশু শিক্ষার্থীর চিকিৎসায় যুক্ত আছেন ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক অধ্যাপক ফোয়ারা তাসমীম। বেলা ১টায় তিনি গণমাধ্যমে বলেন, ‘রাফসি ও আয়ানের পোড়া তুলনামূলকভাবে কম ছিল। তাদের জটিলতাও তেমন ছিল না। তাই তাদের ছুটি দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া শিশু দুটি নিজেরাই বাড়ি ফেরার জন্য উদ্গ্রীব।’ দেশি-বিদেশি চিকিৎসকেরা এই দুজনকে ছুটি দেওয়ার ব্যাপারে একমত হয়েছেন।
দুপুরে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ে শিক্ষার্থী দুজনের ছুটি দেওয়ার প্রস্তুতি চোখে পড়ে। কর্তৃপক্ষ চাচ্ছে বড় ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই শিক্ষার্থী দুজনকে ছুটি দেওয়া হবে।
আজ বেলা ১টার সময় ইনস্টিটিউটে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত রোগী ছিল ৩৮ জন। রাফসি ও আয়ান বাড়ি চলে গেলে রোগীর সংখ্যা হবে ৩৬।
সকালে দুই ঘণ্টার ব্যবধানে দগ্ধ শিশুসহ দুজন মারা যান। তাদের একজন মাইলস্টোনের শিক্ষার্থী, অন্যজন কর্মচারী। দুজনই রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ নিয়ে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১৭ জন মারা গেলেন। আর এ ঘটনায় মোট মৃত মানুষের সংখ্যা বেড়ে হলো ৩৫।
খবরটি শেয়ার করুন