বৃহস্পতিবার, ২৩শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৭ই কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** সরকারে থাকা ‘দলীয় উপদেষ্টা’ আসলে কারা *** জুলাই সনদ বাস্তবায়নে নভেম্বরে গণভোটের দাবি জামায়াতের *** পুলিশের বলা ‘ত্রিভুজ প্রেমের গল্প’ নিয়ে প্রশ্ন জোবায়েদের শিক্ষকের *** দেশের সব ভূমি অফিসে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ *** ‘উপদেষ্টা পরিষদে শুদ্ধি অভিযান জরুরি’ *** বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা পেলেই জুলাই সনদে স্বাক্ষর: নাহিদ *** শুক্র ও শনিবার বিমানবন্দরের শুল্কায়ন কার্যক্রম পুরোদমে চলবে *** সেন্ট মার্টিন নিয়ে ১২ নির্দেশনা সরকারের, প্রজ্ঞাপন জারি *** সেন্ট মার্টিনে পর্যটকদের রাতযাপন নিয়ে মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা *** ‘অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত উপদেষ্টাদের জেলে যেতে হতে পারে’

যুক্তরাষ্ট্রে বানরের জাদুঘর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন, ১৫ই আগস্ট ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

বানরময় এক জাদুঘর। কিছু বানর পাতার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিচ্ছে। কিছু রাখা হয়েছে কাঠের ড্রামের মধ্যে। আবার কিছু সারি বেঁধে তাকের ওপর রাখা হয়েছে।  নানা ভঙ্গিমায় এমন ২ হাজার ৯৮টি বানর সংরক্ষণ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের এক জাদুঘরে। তবে আশ্চর্যের বিষয়, বানরগুলো জীবন্ত নয়। সবগুলোই মোজা দিয়ে তৈরি পুতুল। আর এ পুতুলগুলো পরিচিত ‘সক মাংকি’ নামে। 

এ জাদুঘরটির নাম‘সক মাংকি মিউজিয়াম’। পুতুল বানরের বিপুল সমাহারের কারণে গত বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) জাদুঘরটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের খাতায় নাম লিখিয়েছে। এই অর্জনে বেশ খুশি জাদুঘরের মালিক মাইকেল ওকুন ও আর্লিন ওকুন।

২০০৬ সাল থেকে বানরের পুতুল জমানো শুরু করেছিলেন তাঁরা। আর্লিন বলেন, ‘আমরা গাড়িতে করে দেশ ভ্রমণে বেরিয়েছিলাম। পথে আমরা একটি রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকানে থামলাম। সেখান থেকেই প্রথম বানরের পুতুলটি কিনেছিলাম।’

এরপর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বাকি পুতুলগুলো সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। একসময় এই পুতুল বানরকেই নিজেদের দেশ ভ্রমণের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করতেন মাইকেল ও আর্লিন। পরে নিজেদের আগ্রহ থেকে এই পুতুলের ইতিহাস ঘাঁটতে শুরু করেন। উঠে আসে বিশাল এক গল্প।

সক মাংকি জাদুঘরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৮৫৭ সালে সুইডেন থেকে ইলিনয়ের রকফোর্ড শহরে গিয়ে বসবাস শুরু করেন জন নেলসন নামের এক ব্যক্তি। ১৮৮২ সালে তিনি সেখানে একটি কারখানা গড়ে তোলেন। সেখানে মোজাও তৈরি করা হতো। ওই মোজার বিশেষত্ব ছিল, সেগুলো গোড়ালির অংশ ছিল লাল রঙের সুতা দিয়ে বোনা।

পরে গত শতকে অর্থনৈতিক মহামন্দার কবলে পড়ে বিশ্ব। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পরিবারে শিশুদের জন্য গোড়ালিতে লাল রঙের কাজ থাকা মোজা দিয়ে বানরের পুতুল বানিয়ে দেওয়ার চল শুরু হয়। পুতুলের মুখ বানানো হতো মোজার ওই লাল অংশ দিয়ে। সে সময় থেকেই সক মাংকি জনপ্রিয় হয়।

এম.এস.এইচ/

বানর

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250