ফাইল ছবি (সংগৃহীত)
২০২৫ সালে শবে বরাত, রমজান, শবে কদর ও ঈদের মতো ধর্মীয় বিধান পালন করতে হবে আগের মতোই ধারাবাহিক নিয়মে। সুস্থ-স্বাভাবিক, প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ধর্মীয় বিধান পালন করা জরুরি। আল্লাহ তায়ালা হালাল উপার্জন এবং ধর্মীয় বিধান দুটিই পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। কোনো একটি ধরে কোনোটি ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেননি।
অর্থাৎ, শুধু ইবাদত-বন্দেগীতে লিপ্ত থেকে হালাল উপার্জন থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিতে বলেননি। একইসঙ্গে শুধু পার্থিব আয়-উর্পাজন নিয়ে ব্যস্ত থাকা কখনো ইসলাম সমর্থন করে না।
মানুষের পার্থিব জীবন ও বাস্তবতার প্রতি খেয়াল রেখে পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে,
فَإِذَا قُضِيَتِ الصَّلَاةُ فَانتَشِرُوا فِي الْأَرْضِ وَابْتَغُوا مِن فَضْلِ اللَّهِ وَاذْكُرُوا اللَّهَ كَثِيراً لَّعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
‘অতপর নামাজ শেষ হলে তোমরা জমিনে (পৃথিবীতে) ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ (জীবিকা) তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা (জীবিকা উপার্জনে) সফলকাম হও।' (সূরা জুমআ, (৬২), আয়াত, ১০)।
ইসলামে ইবাদত ও আনন্দ উদযাপনের বিধান
ইসলাম কখনো মানুষের স্বভাবজাত বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়নি। পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে সুখ-শান্তিতে বসবাসের জন্য আল্লাহ তায়ালার ইবাদতের কথা বলেছেন। প্রতিদিন নামাজ আদায়, বছরে একবার রমজানে রোজা পালন, সামর্থ্যবানদের জন্য হজ পালন এবং জাকাত আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইবাদতের প্রতি মানুষকে আগ্রহী করে তুলতে বছরের বিশেষ বিশেষ কিছু দিনে ইবাদতের আলাদা ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। যেমন, শবে কদর, শবে বরাত, আশুরার দিনে নফল ইবাদতের ক্ষেত্রে বিশেষ ফজিলতের কথা বর্ণিত হয়েছে হাদিসে।
আবার ইবাদতের পাশাপাশি আল্লাহর নির্দেশিত পন্থায় আনন্দ উদযাপনের কথাও বলা হয়েছে ইসলামে। উদযাপনের জন্য বছরে দুই ঈদ রাখা হয়েছে।
আরো পড়ুন : নতুন বছরে নিজেকে ইবাদতে মনোযোগী করবেন যেভাবে
২০২৫ সালের শবে বরাত, রমজান, শবে কদর ও ঈদ কবে?
২০২৫ সালের শবে বরাত, রমজান, শবে কদর, ঈদ ও হজের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিধানগুলো কবে, কত তারিখে পালন করতে হবে জেনে রাখার সুবিধার জন্য এখানে সম্ভাব্য তারিখ তুলে ধরা হলো-
>> শব-ই-বরাত-১৫ই ফেব্রুয়ারি (শনিবার)।
>> বিশ্ব ইজতেমা- ৩১শে জানুয়ারি থেকে ২রা ফেব্রুয়ারি ও ৭-৯ ফেব্রুয়ারি।
>> রমজান - ২৮শে ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ২৯শে মার্চ শেষ হতে পারে। (শাবান মাসের শেষে রমজানের চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে তারিখ পরিবর্তন হতে পারে।)
>> জুমাতুল বিদা- ২৮শে মার্চ, (শুক্রবার)।
>> শব-ই-কদর- ২৭শে মার্চ, (বৃহস্পতিবার))।
>.ঈদুল ফিতর- ৩০শে অথবা ৩১শে মার্চ, (সোমবার, চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে।)।
>> ঈদুল আজহা- ০৭ই জুন, (শনিবার চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে।)।
>> হজ- চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে ৫ই জুন থেকে শুরু হতে পারে।
>> আশুরা - ০৬ই জুলাই, (রোববার)।
>>ঈদে মিলাদুন্নবী- ০৫ই সেপ্টেম্বর, (শুক্রবার)।
রমজান, ঈদ, হজ, শবে বরাত, শবে কদর, শবে মেরাজ, আশুরার দিনগুলো মূলত চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে। ইসলামি ক্যালেন্ডারের প্রত্যেক মাস শুরুর তারিখ চাঁদ দেখা সাপেক্ষে নির্ধারিত হয়। এখানে ক্যালেন্ডারে উল্লেখিত সরকারি ছুটির সম্ভাব্য তারিখের ভিত্তিতে রমজান, ঈদ ও অন্যান্য বিশেষ ইবাদতের দিনগুলো তুলে ধরা হয়েছে। আরবি মাাসে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে তারিখ পরিবর্তন হতে পারে।
এস/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন