ফাইল ছবি (সংগৃহীত)
৫ই আগস্টকে কেন্দ্র করে দেশের কোথাও যেন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড হতে না পরে, সে জন্য সারাদেশে অভিযান জোরদার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নজরদারি করা হচ্ছে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের বার্ষিকী আগামী ৫ই আগস্ট। এই দিনটিকে সামনে রেখে কী হতে যাচ্ছে, তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাসহ রাজনৈতিক মহলে সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে।
পুলিশের সূত্রগুলো বলছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের (নিষিদ্ধ) নেতাকর্মীরা আগস্ট মাস সামনে রেখে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছেন, এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সম্প্রতি ঢাকার বসুন্ধরা এলাকায় গোপন বৈঠক এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর নিষিদ্ধ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। কয়েক দিন আগে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা একটি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। তার বক্তব্যের পর থেকে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে তৎপরতা বেড়েছে।
রাজধানীতে যাতে কোনো নাশকতার ঘটনা না ঘটে, সে জন্য ঢাকার প্রবেশমুখগুলোতে তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এ ছাড়া রাতে আবাসিক হোটেল ও মেসে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে তারা।
ডিএমপির একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঢাকায় নাশকতার পরিকল্পনা করছেন। তাই ঢাকার ১১টি প্রবেশমুখে শতাধিক তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে। সন্দেহজনক ব্যক্তি ও গাড়ির ওপর নজরদারি করা হচ্ছে। রাজধানীর ভেতরে আড়াই শ তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে। আগামী দুইদিন ঢাকায় বিশেষ অভিযান চলবে।
একাধিক পুলিশ সুপার বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই। তবে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সভা-মিছিল করার চেষ্টা করছেন। কয়েকটি জেলায় পোস্টার টানাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা গুজব ছড়াচ্ছেন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের যেসব স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা গ্রেপ্তার হননি, তারা নেতাকর্মীদের সংগঠিত করার চেষ্টা করছেন।
পুলিশের এসব কর্মকর্তা বলেন, নজরদারি, অভিযান, তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নজরদারি করা হচ্ছে।
খবরটি শেয়ার করুন