রবিবার, ৩রা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৯শে শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** প্রবাসীদের জন্য একটি হাসপাতাল নির্মাণের প্রক্রিয়া চলমান: আসিফ নজরুল *** ৫ই আগস্ট সামনে রেখে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী *** কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়েতে উড়োজাহাজের সঙ্গে কুকুরের ধাক্কা... *** ইসরায়েলি কূটনীতিকদের আরব আমিরাত ছাড়ার নির্দেশ *** অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর শেখ হাসিনা সরকারের ‘ছায়া’ দেখছেন আনু মুহাম্মদ *** পাকিস্তানের সামরিক বহরে অ্যাটাক হেলিকপ্টার, ঘুরে দেখলেন আসিম মুনির *** শেখ হাসিনার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে অধ্যাপক ইউনূস একটি কথাও বলেননি: মেজর (অব.) হাফিজ *** বরিশালের কোচ হলেন মোহাম্মদ আশরাফুল *** যেভাবে চীনা ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভারতের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে পাকিস্তান *** আমেরিকার তুলায় তৈরি পোশাক রপ্তানিতে কিছুটা শুল্ক ছাড় পাবে বাংলাদেশ: বিজিএমইএ

ঘন নাকি পাতলা ডাল, কোনটি বেশি উপকারী?

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, ৩রা আগস্ট ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

বাড়িতে আমাদের পাতে প্রায় প্রতি বেলায় ডাল থাকে। ভাতের হোটেল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আবাসিক হল কিংবা অফিসের ক্যানটিনেও ডাল নিত্যদিনের পদ। ডাল আমিষের উৎস। যদিও উদ্ভিজ্জ সব আমিষই ‘দ্বিতীয়’ শ্রেণির আমিষ, তবু তা থেকে রোজকার পুষ্টির এক গুরুত্বপূর্ণ অংশের জোগান পাই আমরা।

পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের পাতে হয়তো রোজ মাছ-মাংস বা গোটা একটা ডিম তুলে দেওয়ার সুযোগ হয় না অনেকেরই। সুযোগ হয় না সবাইকে এক গ্লাস করে দুধ খেতে দেওয়ার। শেষ পর্যন্ত ডালই কারও কারও আমিষের প্রধান উৎস হয়ে দাঁড়ায়।

ডাল কীভাবে খেলে পুষ্টিগুণ সবচেয়ে ভালোভাবে পাওয়া যায়, সে প্রশ্ন অনেকের। সবিস্তার জানালেন রাজধানীর আজিমপুরের গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লায়েড হিউম্যান সায়েন্সের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শম্পা শারমিন খান।

পর্যাপ্ত আমিষ পেতে হলে ডাল একটু ঘন করেই খাওয়া উচিত। একেবারে পাতলা ডালে আমিষের পরিমাণ থাকে খুব কম। যদিও কেউ কেউ পানির মতো পাতলা ডাল খেতেই পছন্দ করেন, তবু একটু ঘন ডাল খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যদি কারও খাদ্যতালিকায় ডালই হয় আমিষের প্রধান উৎস।

তবে তারা পাতলা ডাল খেতে চাইলেও কিন্তু ক্ষতি নেই, যদি তারা ডালের পাত্রের নিচের দিককার ঘন অংশটা অন্য কোনোভাবে গ্রহণ করতে পারেন। যেমন এই অংশ দিয়ে আলাদাভাবে ভর্তা করে খাওয়ার সুযোগ থাকে। তাতে খাবারের প্রথাগত পদের বাইরে গিয়ে একটু ভিন্ন স্বাদও আসে।

আর্থিক অসংগতি, ধর্মীয় বিধিনিষেধ কিংবা প্রাণিকুলের প্রতি সহানুভূতিশীলতার কারণে অনেকেই মাছ-মাংস খান না। যে কারণেই হোক না কেন, আপনার খাদ্যতালিকায় যদি আমিষের কোনো প্রাণিজ উৎস না থাকে, তাহলে আপনার জন্য ঘন ডাল খুবই প্রয়োজনীয়। ঘন করে ডাল খেতে হলে আপনি অনায়াসেই কাজে লাগাতে পারেন মুগডাল। আবার দু-তিন রকম ডাল একসঙ্গে করেও (কিংবা পাঁচমিশালি ডাল) খেতে পারেন।

তাতে বিভিন্ন ডাল থেকে আপনি বিভিন্ন ধরনের অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড পাবেন। সেদিক বিবেচনায় খিচুড়ি কিংবা হালিম দারুণ পদ। তবে মনে রাখতে হবে, শৈশব–কৈশোর ও গর্ভাবস্থায় পুষ্টির চাহিদা থাকে অন্য রকম। এই বিশেষ সময়গুলোয় কিন্তু প্রাণিজ কোনো না কোনো উপাদান থেকে আমিষ গ্রহণ করা জরুরি। মাছ-মাংস একেবারে না খেলেও ডিম-দুধ থেকে অবশ্য সেই চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।

জে.এস/

ঘন নাকি পাতলা ডাল

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন