শনিবার, ২রা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** মালিক-ডি ভিলিয়ার্সদের ফাইনাল আজ, খেলা দেখবেন কোথায় *** আমেরিকার বাজারে শুল্ক কমেছে, বাংলাদেশে স্বস্তি *** ফল দেখলেই বুঝবেন, কাজটা ঠিক হয়েছে কী না: খলিলুর রহমান *** ইনার হুইল ক্লাবের উদ্যোগে দরিদ্র ছাত্রীদের জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে টিকা দান *** চোরা শিকার রুখতে গন্ডারের শিংয়ে তেজস্ক্রিয় পদার্থ! *** দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না *** বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করল আমেরিকা *** জিম্বাবুয়েকে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে বাংলাদেশ *** মেসির কারণেই সেদিন চুপ ছিলেন উরুগুয়ের ফুটবলার *** সাংবাদিক হত্যা মামলার আসামি চেয়ারম্যান পদ ফিরে পাওয়ায় বকশীগঞ্জে বিক্ষোভ

নারীর ‘বগলের গন্ধ’ পুরুষের মানসিক চাপ কমায়!

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:২৭ পূর্বাহ্ন, ১লা আগস্ট ২০২৫

#

প্রতীকী ছবি

নারীর বগলের গন্ধ পুরুষের আচরণে প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকি তাদের মানসিক চাপও কমাতে পারে। এমনটাই জানা গেছে জাপানে হওয়া এক চমকপ্রদ গবেষণা থেকে। তবে এই প্রভাব সব সময় দেখা যায় না। মাসের নির্দিষ্ট কিছু সময়ে, যখন নারীর গন্ধ পুরুষের কাছে বেশি আকর্ষণীয় মনে হয়, তখনই এই প্রভাব দেখা যায়। ওই সময় পুরুষ নারীর মুখও বেশি সুন্দর ও আকর্ষণীয় মনে করেন।

জীববিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল সেলে প্রকাশিত এই গবেষণার নিবন্ধ থেকে জানা গেছে, নারীর শরীরের গন্ধ মাসিক চক্র অনুযায়ী বদলায়। ডিম্বাণু নির্গমনের সময়, অর্থাৎ যখন নারীর গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেশি থাকে, তখন তাদের গায়ের গন্ধ পুরুষের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় মনে হয়। খবর নিউ ইয়র্ক পোস্টের।

তবে শরীরের ঘামের এই গন্ধে যে রাসায়নিক উপাদানগুলো ভূমিকা রাখে, সেগুলো এত দিন অজানা ছিল। এবার টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমন তিনটি রাসায়নিক যৌগ শনাক্ত করেছেন, যেগুলোর মাত্রা মাসিক চক্র অনুযায়ী ওঠানামা করে এবং ডিম্বাণু নির্গমনের সময় বাড়ে।

এই তিন যৌগ নারীর বগলের ঘামে মেশার পর পুরুষ ওই গন্ধকে আরও বেশি পছন্দ করেছেন। পাশাপাশি তারা একই নারীর মুখকে আগের চেয়ে বেশি আকর্ষণীয় ও নারীত্বপূর্ণ বলে মনে করেছেন। আরও চমকপ্রদ বিষয় হলো, এই গন্ধ পুরুষের মধ্যে মানসিক চাপ কমানোতে প্রভাব ফেলেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব পুরুষ এই গন্ধ পেয়েছেন, তাদের লালায় চাপের একটি রাসায়নিক চিহ্ন সাধারণভাবে অন্যদের তুলনায় কম ছিল।

গবেষণার অন্যতম প্রধান বিজ্ঞানী টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লায়েড বায়োলজিকাল কেমিস্ট্রির অধ্যাপক কাজুশিগে তোহারা বলেন, ‘এসব ফলাফল ইঙ্গিত দেয় যে, নারীর শরীরের গন্ধ পুরুষ-নারীর মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে কোনো না কোনো ভূমিকা রাখেই।’

প্রাণিজগতে ‘ফেরোমোন’ নামের গন্ধভিত্তিক জৈবিক বার্তা অনেক পরিচিত। পোকামাকড়, পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রাণীরা প্রজনন, সামাজিক বন্ধন বা এলাকা চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে এগুলো ব্যবহার করে। হলিউডে এই ‘ভালোবাসার গন্ধ’ নিয়ে যত গল্পই থাক, বাস্তবে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন—মানুষের ক্ষেত্রে ঠিক একইভাবে ফেরোমোন কাজ করে কী না।

অবশ্য পুরোনো কিছু গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, পুরুষের ঘামের ‘অ্যান্ড্রোস্টাডিয়েনোন’ এবং নারীদের প্রস্রাবের ‘এসট্রাটেট্রায়েনল’ যৌগ মানসিক অবস্থা ও আকর্ষণে প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এসব গবেষণা অনেক সময়ই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। বিশেষ করে গন্ধ শনাক্ত করার প্রক্রিয়া ও অংশগ্রহণকারীদের পরিচ্ছন্নতা ঠিক না থাকায়।

জাপানের এই নতুন গবেষণায় সঠিক রাসায়নিক মিশ্রণ নির্ধারণ করাটাই সবচেয়ে কঠিন ছিল। গবেষণার প্রধান লেখক নোজোমি ওহগি বলেন, ‘২০ জনের বেশি নারীর কাছ থেকে মাসিক চক্রের সুনির্দিষ্ট সময়ে বগলের গন্ধ সংগ্রহ করতে গিয়ে আমাদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেক নারীর মাসিক চক্র পর্যবেক্ষণ করতে বারবার তাদের শরীরের তাপমাত্রা ও অন্যান্য বিষয় জেনে নিতে হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়ায় একজন অংশগ্রহণকারীর ক্ষেত্রে প্রায় এক মাসের মতো সময় নিয়েছে।’

তবে এত কিছুর পরেও অধ্যাপক তোহারা এই তিন যৌগকে এখনই নিশ্চিতভাবে মানব ফেরোমোন বলতে রাজি নন। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনই নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না, ডিম্বাণু নির্গমনের সময় বাড়ে এমন যৌগগুলো সত্যিকারের মানব-ফেরোমোন কী না।’

জে.এস/

গবেষণা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন