ছবি: সংগৃহীত
চীনের নতুন একটি লাইভ-অ্যাকশন ভিডিও গেম Revenge on Gold Diggers-এ খেলোয়াড়রা পুরুষ চরিত্রে থাকেন, যারা প্রেমের ফাঁদে পড়েন একাধিক অর্থলোভী নারীর। প্রতিটি গেম ব্যবহারকারীর সিদ্ধান্তে গল্পের গতিপথ ঠিক করে দেয় গেমটি।
গেমটি মুক্তির পরপরই স্টিমে বিক্রির শীর্ষে উঠে এলেও সমালোচনার মুখে পড়েছে। অনেকে বলছেন, এটি লিঙ্গভিত্তিক নেতিবাচক ধারণা প্রচার করে, আবার কেউ কেউ বলছেন, এটি প্রেমের নামে প্রতারণা সম্পর্কে সতর্ক করে। তথ্যসূত্র বিবিসি নিউজের।
সম্প্রতি গেমটির একটি সংলাপ নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা। যেমন, 'ও আমার কুকুরের চেয়েও বেশি বাধ্য, যদি আরও কিছু বোকা ছেলে পেতাম'—এমন সংলাপ নিয়ে চীনের এই ভিডিও গেমটি দেশজুড়ে নারী বিদ্বেষ ও লিঙ্গবৈষম্য বিতর্কে নতুন করে আগুন জ্বেলেছে।
এরই মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখে গেমটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় Emotional Anti-Fraud Simulator। তবে সমালোচনা থামেনি। গেম পরিচালক, হংকংয়ের চলচ্চিত্র নির্মাতা মার্ক হু-কে চীনের একাধিক সামাজিক মাধ্যম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নির্মাতারা দাবি করছেন, তাদের উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক প্রেম ও আবেগীয় সীমা নিয়ে বিতর্ক তৈরি করা। নারীদের লক্ষ্য করে বৈষম্যমূলক কন্টেন্ট তৈরি করা নয়।
এদিকে গেমটি খেলে বিরক্ত হয়েছেন চিত্রশিল্পী সু ইকুন। তিনি বলেন, এটা ব্যবসার পুরোনো ফর্মুলা—বিতর্ক তৈরি করো, লাভ কুড়াও। তার মতে, ‘গোল্ড ডিগার’ শব্দটাই নারী বিদ্বেষী। কেউ ধনী প্রেমিক পেলেও, সাজলেও, এমনকি পানীয় গ্রহণ করলেও—তাকে ‘গোল্ড ডিগার’ বলা হয়।
অন্যদিকে ২৮ বছর বয়সী এক তরুণ বলেন, আপনি যদি নিজে গোল্ড ডিগার না হন, তাহলে এই গেমে সমস্যা কোথায়? এক নারী জানান, এই গেম শুধু পুরুষ-নারী বৈরিতা বাড়ায়। যেন নারীরা পুরুষকে খুশি করেই বাঁচতে বাধ্য। তবে এত বিতর্ক নিয়েই গেমটির বিক্রি তুঙ্গে। এটি এখন চীনের পিসি গেম প্ল্যাটফর্মে শীর্ষ দশে, এমনকি বিখ্যাত Black Myth: Wukong গেমকেও ছাড়িয়ে গেছে।
টিএ/
খবরটি শেয়ার করুন