ছবি: সংগৃহীত
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা দিতে প্রস্তুত। তবে শর্ত হলো—ন্যাটো জোটভুক্ত সব মিত্রদেশকে অবশ্যই রাশিয়া থেকে তেল কেনা পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে এবং মস্কোর ওপর নিজেদেরও নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে, যাতে ইউক্রেনে চলা তিন বছরের বেশি সময়ের যুদ্ধ শেষ হয়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গতকাল শনিবার (১৩ই সেপ্টেম্বর) নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে শেয়ার করা এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘সব ন্যাটো দেশ যখন একইভাবে কাজ শুরু করবে এবং রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে, তখন আমি রাশিয়ার ওপর বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিতে প্রস্তুত।’
এই পোস্টকে তিনি ন্যাটোর সব দেশ ও বিশ্বের উদ্দেশে লেখা এক খোলা চিঠি বলে উল্লেখ করেছেন। ট্রাম্প প্রস্তাব দিয়েছেন, ন্যাটো যেন একটি জোট হিসেবে চীনের ওপর ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে, যাতে রাশিয়ার ওপর চীনের অর্থনৈতিক প্রভাব দুর্বল হয়।
ট্রাম্প আরও লিখেছেন, যুদ্ধ জেতার জন্য ন্যাটোর প্রতিশ্রুতি ‘শতভাগেরও কম।’ তার ভাষায়, কিছু সদস্য দেশ এখনো রাশিয়ার তেল কিনছে, যা ‘আশ্চর্যজনক।’ এসব দেশের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এতে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় আপনারা যে অবস্থান এবং দর-কষাকষির শক্তি পান, তা মারাত্মকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে।’
ন্যাটো সদস্য তুরস্ক রাশিয়ার তেলের তৃতীয় বৃহত্তম ক্রেতা। এর পরেই আছে চীন ও ভারত। ন্যাটোর ৩২ সদস্য দেশের মধ্যে হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়াও রুশ তেল কিনছে বলে তথ্য দিয়েছে ‘সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ার।’ ট্রাম্প লিখেছেন, ‘ন্যাটো যদি আমার নির্দেশ মতো কাজ করে, যুদ্ধ দ্রুত শেষ হবে। যদি না করে, তবে তোমরা শুধু আমার সময় নষ্ট করছ।’
যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে হিমশিম খাওয়া ট্রাম্প বারবার রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়ানোর হুমকি দিয়েছেন। গত মাসে তিনি রাশিয়ার তেল কেনা অব্যাহত রাখার জন্য ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন। তবে এখনো চীনের বিরুদ্ধে একই পদক্ষেপ নেননি। ট্রাম্পের এই পোস্ট এমন সময়ে এল, যখন পোল্যান্ড ও ন্যাটো বাহিনী রাশিয়ার সবচেয়ে বড় আকাশপথে হামলার সময় পোল্যান্ডের আকাশসীমায় প্রবেশ করা ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন