ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। ছবি: পিটিআই
নাইন-ইলেভেনে (৯/১১) আমেরিকার টুইন টাওয়ারে হামলা চালানো হয়েছিল। এ হামলার পরই আমেরিকায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের (ইউএনএসসি) সন্ত্রাস দমন কমিটি গঠিত হয়। সম্প্রতি পাকিস্তানকে ইউএনএসসির সন্ত্রাস দমন কমিটির সহসভাপতি ঘোষণা করা হয়েছে। এ খবরে বেশ চটেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
মঙ্গলবার (১০ই জুন) দেরাদুনে একটি জনসভায় তিনি বলেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাতিসংঘের অনেক সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যে প্রেক্ষাপটে এ কমিটি গঠন করা হয়েছিল, সেই হামলার মূল পরিকল্পনাকারীকেই পাকিস্তান আশ্রয় দিয়েছিল। খবর এনডিটিভি ও পিটিআইয়ের।
ধারণা করা হয়, টুইন টাওয়ারে হামলাকারীদের আর্থিক মদদ দিয়েছিল ওসামা বিন লাদেনের সংগঠন আল-কায়েদা। আর এ ওসামা বিন লাদেনকেই পাকিস্তান আশ্রয় দিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন রাজনাথ সিং।
রাজনাথ সিং বলেন, ‘এটা কারোর অজানা নয় যে, পাকিস্তান ৯/১১ হামলার মূল পরিকল্পনাকারীকে আশ্রয় দিয়েছিল। এখন দেখেন, সেই পাকিস্তানকেই সন্ত্রাস দমন কমিটির সহসভাপতি করেছে জাতিসংঘ। এটা অনেকটা বিড়ালকে দুধ পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়ার মতো।’
প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর সরকার জাতীয় নিরাপত্তাসম্পর্কিত বিষয়ে মনোভাব ও কাজের পদ্ধতি পরিবর্তন করেছে। এর সর্বশেষ এবং সেরা উদাহরণ হলো অপারেশন সিঁদুর।’ তিনি এটিকে ভারতীয় ইতিহাসে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযান বলে অভিহিত করেন।
পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসের জনক’ আখ্যা দিয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পাকিস্তান সব সময় সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিয়েছে, তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের সহায়তা করেছে।’ তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসীদের আস্তানা নির্মূল করতে হলে যে দেশগুলো সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন করে ও সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয়, তাদেরও মুখোশ উন্মোচন করা গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রাপ্ত আর্থিক সহায়তার একটি বড় অংশ সন্ত্রাসবাদের পেছনে ব্যয় করে পাকিস্তান। তবে বিশ্ব এখন এ বিষয়ে সচেতন। জাতিসংঘ পাকিস্তানকে এত বড় একটা দায়িত্ব দিয়েছে, তাদের উচিত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অবস্থান স্পষ্ট করা।’
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন