রবিবার, ২২শে জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৮ই আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ইরানের বুশেহর শহরে হামলা হলে মধ্যপ্রাচ্যে ‘ফুকুশিমা’ ঘটতে পারে *** র‍্যাপিডের আলোচনায় পরিকল্পনা উপদেষ্টা: কালোটাকা তুলে দেওয়া হোক, অসুবিধা কী *** নতুন দল নিবন্ধনে আবেদনের সময় শেষ হচ্ছে আজ *** ধর্মীয় তিন নেতাকে উত্তরসূরি নির্ধারণ করেছেন আয়াতুল্লাহ খামেনি *** ইউআইইউ'র শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার *** ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাখোঁর ফোনালাপ *** আলটিমেটাম দিয়ে ৯ ঘণ্টা পর সড়ক ছাড়লেন ইউআইইউ শিক্ষার্থীরা *** সরকার ভালো কাজ করছে, আমাদের পথ দেখাচ্ছে: মির্জা ফখরুল *** দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে ইসরায়েলের চেয়ে এগিয়ে ইরান *** প্রেম ও দ্রোহের আধুনিক কবি নির্মলেন্দু গুণ

মতিউর ও তার পরিবারের সম্পদের তথ্য চেয়ে দুদকের চিঠি

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, ৩০শে জুন ২০২৪

#

ফাইল ছবি (সংগৃহীত)

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বিষয়ে এবার নড়েচড়ে বসেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (৩০শে জুন) মতিউর দম্পতির জমিজমার হিসাব চেয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার সাব রেজিস্ট্রি অফিসে চিঠি দিয়েছে দুদক।

জানা গেছে, এই কর্মকর্তা ও তার পরিবারের সদস্যদের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ক্রয়কৃত কোনো জমি আছে কিনা, সেটি জানতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

তবে এরআগে, চারবার মতিউরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পায় দুদক। কিন্তু প্রতিবারই নানা কৌশলে নানা প্রভাব খাটিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে ক্লিন চিট পেয়েছিলেন ছাগলকাণ্ডের মতিউর রহমান।

মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম দুদকে অভিযোগ আসে ২০০৪ সালে। সে সময় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচারের। অভিযোগ আছে, হুন্ডির মাধ্যমে পাচার করা টাকা প্রবাসী কোনো এক আত্মীয়র মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে এনে তা রেমিট্যান্স বাবদ দেখিয়ে দিয়েছিলেন ট্যাক্স ফাইলে।

২০০৮ সালে আবারও দুদকে অভিযোগ জমা পড়ে তার বিরুদ্ধে। এবার অভিযোগ বিলাসবহুল পণ্যের শুল্ক মাফ করিয়ে দেয়ার মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন। কিন্তু তদন্ত শুরু হতে না হতেই প্রভাবশালীদের চাপে তা চাপা পড়ে যায়, ক্লিন চিট পান মতিউর।

এরপর ২০১৩ ও ২০২১ সালে আরও দুবার দুদকে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হয়। অভিযোগ ছিল অবৈধ সম্পদ ও সম্পত্তির। কিন্তু কৌশলী মতিউর অবৈধ সম্পদকে পারিবারিক ব্যবসা ও ঋণ দেখিয়ে প্রস্তুত করেন ট্যাক্স ফাইল। ফলে আবারও ক্লিনচিট।

তবে পঞ্চমবারের মতো তদন্তে নেমে দুদক আগের চারবারের প্রতিটি বিষয়ে পর্যালোচনা করার আশ্বাস দিয়েছে। একইসঙ্গে আশ্বাস দিয়েছে, যে বা যাদের মাধ্যমে বারবার দায়মুক্তি পেয়েছে মতিউর, তা-ও খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের।

সম্প্রতি ঈদুল আজহার আগে মতিউর রহমানের ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাতের ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কেনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এর প্রেক্ষিতেই এনবিআরের এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। 

ওআ/


মতিউর রহমান

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন