পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। ফাইল ছবি
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘিরে নানা প্রশ্ন আর আলোচনা চলছে। কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে কী না, এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য দেশ কতটা প্রস্তুত, বিদেশি বাজার ধরে রাখতে কী উদ্যোগ দরকার—এসব নিয়েই মুখোমুখি হলেন অর্থনীতিবিদ, নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়ী নেতারা। র্যাপিড আয়োজিত এক আলোচনায় উঠে এসেছে বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ, বিনিয়োগ কমে যাওয়ার শঙ্কা এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক সুরক্ষায় বরাদ্দ বাড়ানোর তাগিদ।
গতকাল শনিবার (২১শে জুন) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে আয়োজিত ‘এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রেক্ষাপটে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট’ শীর্ষক এক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে গবেষণা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্ট (র্যাপিড)।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের সরকার হলো সবার সমর্থন ও নৈতিকতার ভিত্তির সরকার। কাজেই বাজেটে যে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে, এটা যে থাকবে এমন তো কোনো কথা নেই। এ সুযোগ খুব একটা কাজে আসে না। পাঁচ কোটি টাকা দিয়ে সম্পদ কিনে কেউ যদি এক কোটিও দেখাতে না পারে, তাহলে এটা (কালোটাকা সাদা করার সুযোগ) থাকার তো কোনো দরকার নেই। এতই যখন আলোচনা হয়েছে, তা তুলে দেওয়া হোক। অসুবিধা কী। কালোটাকা তুলে দেওয়া হবে অথবা অপ্রদর্শিত হিসেবে সর্বোচ্চ করের ওপর শাস্তি হিসেবে আরও ৫ শতাংশ করারোপ করা যেতে পারে।’
বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়তে পারে বলে জানান ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। এর আগে আলোচনায় অংশ নিয়ে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকরা বলেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন একটি প্রস্তুতিহীন পরিকল্পনা। তারা এর জন্য প্রস্তুত নন। এ উত্তরণ মান-সম্মানের ইস্যু নয়, বরং বাস্তবতা। বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি রুবানা হক বলেন, ‘এটি একটি প্রস্তুতি পরিকল্পনা। আমরা কোনোমতেই এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের জন্য প্রস্তুত নই।’
খবরটি শেয়ার করুন