রবিবার, ১৫ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩১শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** বিশ্ব বাবা দিবস আজ *** ইরানের প্রেসিডেন্টকে পরমাণু আলোচনায় বসার আহ্বান মাখোঁর *** 'জরুরি সহায়তা' হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে আরও যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে ব্রিটেন *** ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপে উঠে এল যেসব বিষয় *** হাতিরঝিলের পানি পরিশোধনের কাজ জোরদার হচ্ছে *** ছুটি শেষে রোববার থেকে চালু ব্যাংক ও পুঁজিবাজার *** আইএমএফের পর্ষদ বৈঠক ২৩শে জুন, অনুমোদন হতে পারে দুই কিস্তির অর্থ *** ইরানের ভেতরে ঘাঁটি গেড়ে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা নিষ্ক্রিয় করে মোসাদ *** ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন জামায়াতের আমিরের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ: সালাহউদ্দিন *** টানা ১০ দিন ছুটি শেষে অফিস খুলছে কাল

টাঙ্গাইলে ডায়াবেটিক ধান চাষে সাফল্য পেলেন কৃষকরা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৯:১৭ অপরাহ্ন, ১৭ই জুন ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

ডায়াবেটিস রোগীর কথা চিন্তা করে স্বল্প কার্বোহাইড্রেট সম্পন্ন পুষ্টিকর ব্রি ধান-১০৫ ‘ডায়াবেটিক ধান’ উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)। নতুন এই ধান চাষ করে আশানুরূপ ফলন পেয়েছেন টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার কৃষকরা। যার বাজার মূল্য বেশিও পাওয়া যাবে এবং এই ধান ভবিষ্যতে দেশের কৃষি অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে দাবি কৃষি বিজ্ঞানীদের।

কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ব্রি ধান-১০৫ অন্য জাতের ধান গাছের চেয়ে বৈশিষ্ট্যগতভাবে কিছুটা আলাদা। সবুজ ও খাড়া ডিগ পাতা আর মাঝারি লম্বা ও চিকন ধানের দানা। এটি স্বল্প কার্বোহাইড্রেট সম্পন্ন পুষ্টিকর ধান। ডায়াবেটিক রোগীদের খাবারের জন্য উপযোগী, যা দেশের মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এর বীজ কৃষক নিজেরাই উৎপাদন ও সংরক্ষণ করতে পারবেন।

এই জাতের ধান প্রথমবার মতো প্রদশর্নী প্লট হিসাবে চাষ হয়েছে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি গ্রামের মাঠে। দুইজন কৃষক এই ধান চাষ করেছেন। ধান কর্তন উপলক্ষে সম্প্রতি মুশুদ্দির বটতলা গ্রামের মাঠে অনুষ্ঠিত হয় মাঠ দিবস। মাঠ দিবসে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ডায়াবেটিক ধান আবাদকারী মুশুদ্দি গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, ‘৫০ শতক জমিতে কৃষি অফিসের পরামর্শে ব্রি ধান- ১০৫ প্রদশর্নী প্লট হিসাবে আবাদ করেছি। এই ধানে রোগবালাই নেই বললেই চলে। একই খরচে অন্য জাতের চেয়ে এই ধানের ফলনও বেশি। বিঘা প্রতি ২৮ মণ (কাঁচা) ফলন পেয়েছি।’

অপর কৃষক গোলাম মোস্তাফা ভুট্টু বলেন, ‘নতুন এই জাতের ধানের ফলন খুবই ভালো। গড়ে বিঘা প্রতি ২৯ মণ (কাঁচা) পেয়েছি। গাজীপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এই ধান আমাদের নিকট থেকে সংগ্রহ করবেন। তাঁরা নিয়মিত আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন। এখন পর্যন্ত এ ধানের মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি।

আরো পড়ুন: রাজধানীতে জাতীয় ফল মেলা শুরু

কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদুর রহমান বলেন, ধান চাষে এই অঞ্চলটি খুবই উপযোগী। আমরা খেতে গিয়ে নতুন জাতের এই ধান চাষিদের সার্বিক পরামর্শ দিয়েছি। পর্যাপ্ত বীজ পেলে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া যাবে।

ধান গবেষণার মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আমেনা খাতুন বলেন, দেশে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। ডায়াবেটিস রোগীর কথা চিন্তা করে ব্রি ধান-১০৫ ‘ডায়াবেটিক ধান’ উদ্ভাবন করা হয়েছে। এটি বোরো মৌসুমের একটি কম জিআই সম্পন্ন, রোগবালাই ও পোকামাকড় আক্রমণ রোধক ধান। গড় ফলন হেক্টরে ৭ দশমিক ৬ টন। উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে অনুকূল পরিবেশে হেক্টর প্রতি ৮ দশমিক ৫ টন পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম। এর জীবনকাল ১৪৮ দিন।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীর বলেন, দেশে যেন কখনো খাদ্য ঘাটতি দেখা না দেয়, সেজন্য উচ্চ ফলনশীল নতুন নতুন ধানের জাত উদ্ভাবনে গবেষণায় জোর দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ব্রি-১০৫ থেকে পাওয়া চালে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম এবং সে কারণেই এটিকে ‘ডায়াবেটিক ধান’ বলা হচ্ছে।

এসি/ আই.কে.জে

ডায়াবেটিক ধান

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন