ছবি: সংগৃহীত
মিষ্টি আলু না সাধারণ আলু, কোনটা বেশি উপকারী? কোনটা খেলে রোগভোগে পড়ার আশঙ্কা কমবে? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
আলুর স্বাদের জাদুতে মোহিত ৮ থেকে ৮০। তাই প্রায় সব পদেই এর অবাধ বিরচণ। আর এই কারণেই আলুকে অনায়াসে রান্নাঘরের সর্বঘাটের কাঁঠালি কলা হিসাবে চিহ্নিত করা যায়।
তবে এহেন সুস্বাদু খাবারের উপরই কিন্তু একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তাই অনেকেই আজকাল আলু খাওয়া একদম বন্ধ করে দিচ্ছেন। বরং এর বদলে খাওয়া শুরু করছেন মিষ্টি আলু। এতেই নাকি সুস্বাস্থ্য বজায় থাকবে বলে তাঁরা দাবি করছেন।
কিন্তু প্রশ্ন হল, আদৌ কি সাধারণ আলুর থেকে মিষ্টি আলু বেশি পুষ্টিকর? মিষ্টি আলু খেলেই কি রোগভোগ এড়িয়ে চলা সম্ভব হবে?
আজকাল অনেকেই আলুকে ভিলেনের চোখে দেখেন। তবে এহেন উপকারী এক সবজির সঙ্গে এমনতর ব্যবহার একদমই উচিত নয়। কারণ, আলুতে রয়েছে কার্ব, ফাইবার, ক্যালশিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি৬-এর মতো একাধিক উপকারী উপাদান।
তাই নিয়মিত আলু খেলে যে শরীর সুস্থ থাকবে এবং একাধিক রোগের ফাঁদ এড়ানো সম্ভব হবে তা তো বলাই বাহুল্য! তাই পাত থেকে আলুকে দূর করে দেওয়ার ভুলটা আর করবেন না।
মিষ্টি আলু কিন্তু কম উপকারী নয়। এই সবজিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, আয়রন, ভিটামিন বি৬, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম সহ একাধিক উপকারী উপাদান। আর এই সমস্ত উপাদান কিন্তু শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
তাই সুস্থ-সবল জীবনযাপন করতে চাইলে মিষ্টি আলুকে অবহেলা করলে চলবে না। বরং প্রায়শই রাঙা আলুর পদ পাতে রাখতে পারলেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।
আমাদের মধ্যে অধিকাংশই মনে করেন সাধারণ আলুর তুলনায় বুঝি রাঙা আলু বেশি উপকারী। তবে বিষয়টা একবারেই তেমন নয় বরং সাধারণ আলুও বেজায় স্বাস্থ্যকর।
জানলে অবাক হয়ে যাবেন, মিষ্টি আলুতে সাধারণ আলুর তুলনায় অনেকটা বেশি মাত্রায় ক্যালোরি, কার্ব ও ফ্যাট রয়েছে যা কিনা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এমনকী সিদ্ধ করা মিষ্টি আলুতে সাধারণ আলুর থেকে প্রায় ১৪ গুণ বেশি সুগার থাকে। তাই মিষ্টি আলুর তুলনায় যে সাধারণ আলু বেশি উপকারী, এটা সহজেই বোধগম্য হচ্ছে নিশ্চয়ই!
ডায়াবিটিস ধরা পড়া মাত্রই অনেক রোগী তাঁর বাড়ির লোক এবং পাড়াপড়শির কথা শুনে আলু খাওয়া বন্ধ করে দেন। বরং এর বদলে মিষ্টি আলু খাওয়ার অভ্যাস করেন। তবে এই কাজটা করা একদমই উচিত নয়। বরং ডায়াবিটিস রোগীরাও নিশ্চিন্তে দিনে ৫০ গ্রাম আলু খেতে পারেন। এই নিয়ম মেনে আলু খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ার আশঙ্কা থাকবে না বললেই চলে।
আরো পড়ুন: নিয়মিত কলার খোসা খান, ছুঁতে পারবে না ক্যান্সার!
মোটা হওয়ার ভয় থাকলে বা সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে আলু সিদ্ধ করে তার জল ফেলে দিয়ে রান্না করুন। এতেই অনেকটা উপকার পাবেন। আর অবশ্যই শুধু আলু দিয়ে তৈরি তরকারি খাওয়ার প্রয়োজন নেই। বরং আলুর সঙ্গে অন্য সব সবজি মিশিয়ে একটা পদ তৈরি করে খান। এই নিয়মটা মেনে চললেই আপনি নীরোগ জীবন কাটাতে পারবেন।
এসি/ আই.কে.জে/