হজের কনিষ্ঠতম স্বেচ্ছাসেবী মারিয়াম মিহদার - ছবি: সৌদি গেজেট
চলতি বছরের হজের কনিষ্ঠতম স্বেচ্ছাসেবী মারিয়াম মিহদার। সে বলেছে, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সেনা ও নিরাপত্তা কর্মীদের মতো সেও স্বেচ্ছাসেবী। হজ প্রত্যাশীদের সাহায্য ও সেবা করতে সে গর্ববোধ করে। খবর সৌদি গেজেটের।
হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল টুইটার থেকে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে মিহদার বলেছে, হজ মৌসুম আসলে সে খুব খুশি হয়। কারণ এ সময় সে হাজিদের সেবা করতে পারে। অন্যদিকে হজ শেষ হয়ে গেলে সে খুব কষ্ট পায়। কেননা পুনরায় হাজিদের সেবা করার জন্য পুরো এক বছর অপেক্ষা করতে হয়। হজের স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে যাত্রা শুরুর গল্প জানতে চাইলে মিহদার বলে, আমি দুইজন বৃদ্ধ ও বৃদ্ধা হজপ্রত্যাশীকে একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিলাম। কারণ সে সময় স্বেচ্ছাসেবীরা অন্য হজ প্রত্যাশীদের নিয়ে ব্যস্ত ছিল। তাদেরকে সাহায্য করার জন্য কেউ ছিল না। সেখানে আমি একা ছিলাম। সেই মুহূর্তে আমার কী করা উচিত ছিল? অবশ্যই আমার তাদের কাছে গিয়ে সাহায্য করা উচিত। সেই মুহূর্তে তাদের আমাকে দরকার ছিল। আর আমি তাদেরকে আমার সব ভালোবাসা দিয়ে সাহায্য করব।
মিহদার আরও বলে, সে তার পরিবারের কাছে থেকে সবরকম সাপোর্ট ও অনুপ্রেরণা পেয়েছে। বিশেষ করে তার বাবা তাকে খুব বেশি সহযোগিতা করেছে।
কনিষ্ঠতম এই স্বেচ্ছাসেবক বলে, আমি যখন হজ প্রত্যাশীদের পানি ও খাবার দিচ্ছিলাম; তখন তারা আমাকে ধন্যবাদ জানিয়ে আমার জন্য দোয়া করে। সেই মুহূর্তে আমি খুব খুশি হই। আমি যে স্বেচ্ছাসেবীর কাজ করি এটা অনেক বড় আশীর্বাদ। এই কাজ করার জন্য অনেকেই স্বপ্ন দেখেন।
আরো পড়ুন: মক্কায় ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হজ এবার
সে বলে, আমি ইংরেজি ভাষা শিখতে শুরু করেছি। যাতে করে যেসব হজ প্রত্যাশীরা আরবি ভাষা বলতে পারেন না তাদের সঙ্গে ইংরেজি ভাষায় যোগাযোগ করতে পারি।
সে আরও বলেছে, আমি হজ প্রত্যাশীদের অভ্যার্থনা জানিয়ে ইংরেজিতে বলবো ‘ওয়েলকাম টু মক্কা (আপনাকে মক্কায় স্বাগত)।’
এম/