বৃহস্পতিবার, ৩১শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৬ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** এই সরকারের এক্সিট পলিসি চিন্তা করার সময় এসেছে: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য *** জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সব পদক্ষেপ নেবে নয়াদিল্লি *** ইসরায়েলের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা চান দেশটির ৩১ বিশিষ্ট নাগরিক *** এক সাপুড়ের প্রাণ নেওয়া সাপকে চিবিয়ে খেলেন আরেক সাপুড়ে *** তিন বাহিনীর প্রধান নিয়োগ রাষ্ট্রপতির হাতে রাখার প্রস্তাব *** ডাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্যানেল দিচ্ছেন উমামা, যোগদানের আহ্বান ফেসবুকে *** ১৫ই আগস্টের মধ্যে চাকসুর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা *** ‘প্রিয় বন্ধু’ ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের *** আইন ও বিচার বিভাগে পদায়ন বিধিমালা জারি *** এনসিপির অনুরোধে সমাবেশের স্থান পরিবর্তন ছাত্রদলের

পাকিস্তানি তালেবানদের দখলে সোয়াত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:৪৮ অপরাহ্ন, ৭ই মে ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানে বসবাসরত কোনও নাগরিকই নিরাপদ নয়, এমনকি চীনারাও না। প্রায় এক দশকের জারব-ই-আজব অপারেশনের পর ফের খাইবার পাখতুনখোয়ার সোয়াত উপত্যকায় ফিরে এসেছে তালেবানরা। গত ছয় মাসে পাকিস্তানে এত রক্ত ঝড়েছে যে তা মধ্যযুগীয় বর্বরতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

সোয়াতের সাম্প্রতিক বোমা হামলায় পুলিশ অফিসার ও বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার ঘটনার পর উপত্যকার সবাই উদ্বিগ্ন হয়ে রয়েছে। এখানকার অধিবাসীরা এলাকায় সন্ত্রাসবাদ প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে এই ভেবেই উদ্বিগ্ন হয়ে রয়েছেন।

প্রায় ১৫ বছর আগে মোল্লা ফজলুল্লাহ এবং তার তালেবান সহযোদ্ধারা যে নৃশংসতা চালিয়েছিল তা মনে করলে আজও ভয়ে কুঁকড়ে যায় এলাকার অধিবাসীরা। স্থানীয়রা মিঙ্গোরা সিটি এবং গ্রিন স্কোয়ারের মধ্যবর্তী এলাকাটিকে "রক্তাক্ত মোড়" বলে অভিহিত করতো, কারণ তালেবানরা এখানে তাদের শত্রুদের মাথা ঝুলিয়ে রাখত। নোবেল বিজয়ী মালালা ইউসুফজাই একসময় তাদের বর্বরতার শিকার হয়েছিলেন।

মেয়েদের স্কুলে বিস্ফোরণ চালানো তখন সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সোয়াত ও আশেপাশের জেলায় প্রায় ৬৪০ টি স্কুল ধ্বংস করা হয়।

এক দশক আগে সোয়াতের লক্ষাধিক বাসিন্দা এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জারব-ই-আজব অভিযান শেষ হওয়ার পরও স্থানীয়দের দুর্দশার শেষ নেই। তারা বাড়ি ফিরে আসতে পারলেও সেনাবাহিনী সোয়াতে তাদের অবস্থান অব্যাহত রাখে এবং তালেবানদের পুনরুত্থান থামাতে ব্যর্থ হয়। স্থানীয়রা পূর্বের ঘটনার পুনরাবৃত্তির ভয়ে রয়েছে।

পশতুন জাতীয়তাবাদী এবং স্থানীয়রা জঙ্গিদের ফিরে আসার বিষয়ে টিটিপির সাথে সরকারের ব্যর্থ শান্তি আলোচনাকে দায়ী করে। তারা গত কয়েক মাস ধরে এ ব্যাপারে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে। স্থানীয়দের দাবি, সরকার সোয়াতের প্রতি উদাসীন থাকার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।

একদিকে, পাকিস্তান সরকার তালেবানের সাথে আলোচনার চেষ্টা করছে, অন্যদিকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, যিনি 'তালেবান খান' নামেও পরিচিত, তিনি জনগণদের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। 

আফগান তালেবানদের ক্ষমতায় আনা পাকিস্তানের মস্ত বড় ভুল ছিল। সোয়াতের বাসিন্দারা প্রচণ্ড মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছে। সোয়াতকে বাঁচাতে হয়তো টিটিপির সাথে শেষমেশ সমঝোতাতেই আসতে হতে পারে পাকিস্তানকে।

এ/এম

Important Urgent

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন