সোমবার, ৯ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৬শে জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ভারতের সঙ্গে সমঝোতার জন্য আন্তর্জাতিক ‘হস্তক্ষেপ’ চায় পাকিস্তান *** এবার বাড়ির একাংশ বিক্রির চেষ্টা ভাইয়ের—বাধা দিল সু চি’র আইনি দল *** ইউনূসকে লেখা চিঠিতে যা বলেছেন টিউলিপ *** মোদি-ইউনূসের ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা বিনিময় *** করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ, সতর্কতার পরামর্শ সরকারের *** শহীদদের নামে কোরবানি ও মাংস বিতরণ করেছে জুলাই রেভ্যুলেশনারি অ্যালায়েন্স *** সরকার দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে আন্তরিক: প্রধান উপদেষ্টা *** টিউলিপের কোনো চিঠি পাইনি, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব *** সীমিত পরিসরে চলছে চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের চিকিৎসাসেবা *** বলিউডে অভিষেক হচ্ছে আমির খানের মা জিনাত হুসেনের

একীভূত হচ্ছে দেশের ৯৪৪ প্রাথমিক বিদ্যালয়

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৮:৪২ অপরাহ্ন, ১১ই ডিসেম্বর ২০২৩

#

ফাইল ছবি

সারাদেশের ৫৬ জেলায় ১ম থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ৫০ জন শিক্ষার্থীও নেই এমন ৯৪৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পাশের স্কুলের সঙ্গে একীভূত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) সমন্বয় সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

সোমবার (১১ই ডিসেম্বর) এ তথ্য জানান ডিপিই মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত। 

তিনি বলেন, যেসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫০ এর কম, সেসব বিদ্যালয়কে কাছাকাছি অবস্থিত বিদ্যালয়গুলোর সাথে একীভূত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এ উদ্যোগটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে বলেও জানান তিনি।

ডিপিই মহাপরিচালক আরো জানান, সরকারি অর্থ অপচয় রোধ এবং মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্যই এই উদ্যোগ। তবে, বিদ্যালয় একীভূত হলেও কোনো শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করা হবে না।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ৫৬টি জেলার ৯৪৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চলছে ৫০ জনের কম শিক্ষার্থী নিয়ে। এ তালিকার বেশির ভাগই জাতীয়করণ করা বিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৪ থেকে ৩০ জন। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ও আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ প্রতি মাসে সরকারের বিপুল অর্থ ব্যয় হয়।

গত ৭ ডিসেম্বর অধিদপ্তরের পলিসি ও অপারেশন শাখার পরিচালক মনিষ চাকমা স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেশের সব বিভাগীয় ও জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, অধিদপ্তরের মাসিক সমন্বয় সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৫০ এর কম শিক্ষার্থী এমন স্কুলের বিষয়ে বিভাগীয় উপ-পরিচালকদের কাছে প্রস্তাবনা চাওয়া হয়েছে। এসব বিদ্যালয় কীভাবে বা কোন প্রক্রিয়ায় একত্রীকরণ করা সম্ভব এবং পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী না থাকা জাতীয়করণ করা বিদ্যালয়গুলো আর না চালানোর বিষয়ে স্থানীয় পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রস্তাব আগামী ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে পাঠাতে হবে।

চিঠিতে একত্রিত করার জন্য প্রস্তাবিত বিদ্যালয়ের নাম, ছাত্রসংখ্যা, জমির পরিমাণ, যে স্কুলের সঙ্গে একত্রিত করা হবে তার নাম, বর্তমান বিদ্যালয় থেকে একত্রিত করার জন্য প্রস্তাবিত স্কুলের দূরত্ব, প্রস্তাবিত স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যার তথ্য পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এসকে/ 

প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন