ছবি- সংগৃহীত
সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে শনিবার (১৫ই ফেব্রুয়ারি) থেকে আলোচনা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
শুক্রবার রাজধানীর হাইকোর্ট গেটের সামনে শিক্ষা চত্বরে স্বৈরাচার পতন আন্দোলনের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
শিল্প ও গণপূর্ত উপদেষ্টা বলেন, আমরা দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই। নতুন ব্যবস্থায় বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ আর মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না।
এদিকে বিএনপি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র পরিষদ, ৮২-৯০ ছাত্র-আন্দোলনের নেতাকর্মীরা, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, ৯০-এর ডাকসু সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য, পাহাড়ি ছাত্র ফ্রন্টসহ বিভিন্ন সংগঠন স্বৈরাচার পতন আন্দোলনের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের তৎকালীন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সরকার শিক্ষানীতি প্রণয়ন করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৮৩ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি ওই শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ ও সচিবালয়ে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করেন। প্রতিবাদ সমাবেশ চালাকালে গুলি চালায় পুলিশ। গুলিতে নিহত হন জাফর, জয়নাল, দীপালী, মোজাম্মেল, আইয়ুব ও কাঞ্চন। আহত হন আরও অনেকে। ছাত্র-জনতার তখনকার সেই আন্দোলনের মুখে বাতিল করতে হয়েছিল সেই শিক্ষানীতি। সে কারণে ১৪ই ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাতে সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ছয়টি ও দ্বিতীয় ধাপে পাঁচটি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। এসব কমিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়।
গত বুধবার (১২ই ফেব্রুয়ারি) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এতে সভাপতি হিসেবে আছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও সহ-সভাপতি করা হয়েছে সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজকে।
এর আগে গত বিজয় দিবসের দিন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, নতুন এই কমিশনের প্রথম কাজ হবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যেসব সিদ্ধান্ত জরুরি, সেসব বিষয়ে তাড়াতাড়ি ঐকমত্য সৃষ্টি করা এবং সবার সঙ্গে আলোচনা করে কোন সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা যায়, সে ব্যাপারে পরামর্শ চূড়ান্ত করা। সংস্কার কমিশনের বিষয়ে আলোচনা করতে শনিবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে অন্তর্বর্তী সরকার।
আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন