প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে খেলবে বাংলাদেশ। ছবি: বাফুফে
প্রথমবার এশিয়ান কাপে নাম লিখিয়ে ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এবার তাই স্বপ্নটাও বড় হতে শুরু করেছে। আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় লক্ষ্য থাকবে ব্রাজিল বিশ্বকাপে নাম লেখানোর। এশিয়া কাপ থেকে সরাসরি ২০২৭ বিশ্বকাপে সুযোগ করে নেবে ৬টি দল। দুটি দলের সুযোগ থাকছে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফ খেলার। বাংলাদেশকে তাই বিশ্বকাপ খেলতে হলে এশিয়া কাপে থাকতে হবে সেরা ছয়ের ভেতর।
১২টি দলকে ভাগ করা হবে তিন গ্রুপে। গ্রুপের সেরা দুই দল চলে যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। পয়েন্ট টেবিলের তিনে থাকলেও সুযোগ আছে। তবে সেক্ষেত্রে তিনে থাকা সেরা দুটি দল উঠবে শেষ আটে। কোয়ার্টার ফাইনালে জেতার পর সেমিফাইনালে যাওয়ার পাশাপাশি বিশ্বকাপের টিকিটও কেটে রাখবে চার দল। হেরে যাওয়া চার দল দুটি প্লে-ইন ম্যাচে মুখোমুখি হবে। জয়ী দুই দল খেলবে বিশ্বকাপে। হেরে যাওয়া দুই দল যাবে আন্তমহাদেশীয় প্লে-অফে।
২০২৬ নারী এশিয়ান কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা আটটি দল সুযোগ পাবে ২০২৮ অলিম্পিক ফুটবলের বাছাইপর্ব খেলার। বাছাইপর্বে দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে আটটি দল। দুই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন যাবে লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে। ২৯শে জুলাই সিডনি টাউন হলে হবে এশিয়ান কাপের ড্র। ১২টি দলকে রাখা হয়েছে চারটি পটে। প্রতিটি পটে রয়েছে তিনটি করে দল। র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকায় বাংলাদেশের নাম রয়েছে চতুর্থ পটে। প্রথম পটে রয়েছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও উত্তর কোরিয়া।
দ্বিতীয় পটে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভিয়েতনাম। তৃতীয় পটে ফিলিপাইন, চাইনিজ তাইপে ও উজবেকিস্তান। চতুর্থ পটে বাংলাদেশ ছাড়াও রয়েছে ভারত ও বাছাইপর্বে গ্রুপ ‘এ’ থেকে উঠে আসা দল। আগামী মার্চে (১লা-২১শে) অস্ট্রেলিয়ার তিন শহরে পাঁচ ভেন্যুতে হবে এশিয়ান কাপ।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন