মঙ্গলবার, ২৯শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৪ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** হিন্দুপল্লির ২২টির মধ্যে ১৯টি পরিবার বর্তমানে নিজেদের বাড়িতে আছে: জেলা প্রশাসক *** মস্কো-পিয়ংইয়ং সরাসরি বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু হলো *** ভোগে প্রচারিত বিজ্ঞাপনে স্বর্ণকেশী মডেল কেন বিতর্ক ছড়াচ্ছে *** কিডনি ভালো রাখতে যে ৩টি খাবার খাবেন *** প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি আজ *** ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে ট্রাম্পের কোনো ভূমিকা নেই: জয়শঙ্কর *** গঙ্গাচড়ায় হিন্দুদের বসতঘরে হামলার নিন্দা, জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবি *** থাই রাজার সন্ন্যাসী পুত্রের আবেগঘন বার্তা কীসের ইঙ্গিত *** ব্রাজিলকে শিরোপা জেতানো কোচকে নিয়োগ দিল বসুন্ধরা *** বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের কোনো স্থান নেই: প্রধান উপদেষ্টা

দেশের নিট রিজার্ভ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলার

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:২৪ অপরাহ্ন, ২রা জুলাই ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

দেশের সর্বশেষ নিট (ব্যয়যোগ্য) রিজার্ভের পরিমাণ এখন ১৬ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার। প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) স্বীকৃত নিট রিজার্ভ তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে জানাল বাংলাদেশ ব্যাংক। 

মঙ্গলবার (২রা জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও  মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, দেশের বর্তমান গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৬ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ২১ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার (বিপিএম৬) এবং নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভের (এনআইআর) পরিমাণ ১৬ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার।

এতদিন বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ গ্রস এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি অনুসারে রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করতো। জানা গেছে, শর্ত বাস্তবায়ন করতে আইমএফের তৃতীয় কিস্তি পাওয়ার পর প্রথমবার নিট রিজার্ভের তথ্য জানাল বাংলাদেশ ব্যাংক।

এর আগে, গত বছরের জানুয়ারিতে আইএমএফের ঋণ পাওয়ার পর ২০২৩ সালের জুলাই থেকে বিপিএম-৬ পদ্ধতির গ্রস রিজার্ভের তথ্য জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, নিট রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করবেন না।

সেই থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের তিনটি হিসাব করে আসছে। বাংলাদেশ ব্যাংক মঙ্গলবার জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস হিসাবে গত জুন শেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম৬ এর গ্রস হিসাবে তা ২১ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার ও নিট রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি।

নিট রিজার্ভ হচ্ছে, বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চিতি থেকে সকল প্রকার দায়-দেনা বাদ দেওয়ার পর যা থাকে। আইএমএফের সদস্য রাষ্ট্রগুলো নিট রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করে থাকে। এ হিসাবে নিট রিজার্ভের চেয়ে ১০ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার বেশি দেখাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী, কোনো দেশের আমদানি ব্যয় মেটাতে তিন মাসের মতো রিজার্ভ থাকতে হয়। নিয়ন্ত্রণ করার পরেও বাংলাদেশের গড়ে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি আমদানি ব্যয় হচ্ছে প্রতি মাসে। গত মাসে তা ছয় বিলিয়ন ডলার ছুঁয়েছে। এ হিসাবে তিন মাসের আমদানি দায় মেটানোর মতো রিজার্ভ হাতে নেই বাংলাদেশ ব্যাংকের।

কেবি/ আই.কে.জে/

                      

রিজার্ভ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন