মঙ্গলবার, ২১শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৬ই কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করবে বিএনপি *** তরুণ-তরুণীদের আত্মরক্ষামূলক প্রশিক্ষণ দেবে সরকার *** শিক্ষকদের আন্দোলন প্রত্যাহার, ফিরছেন ক্লাসে *** চীন সফরে যাবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প *** তেলাপোকা মারতে গিয়ে পুরো অ্যাপার্টমেন্টেই দিলেন আগুন *** এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ *** সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে প্রধান উপদেষ্টাকে ৬ আন্তর্জাতিক সংগঠনের চিঠি *** জন্ম নিয়েই বাপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ো না—এনসিপি নেতাদের গোলাম পরওয়ার *** দীপাবলিতে ভারতীয়দের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশি হাইকমিশনের ভিডিও প্রকাশ *** ভারতের সঙ্গে ১০ চুক্তি বাতিলের তথ্য প্রকাশ, যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

মানসিক চাপ কমাতে বই পড়ুন

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস জ্ঞান-বুদ্ধি বাড়াতে যে সাহায্য করে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখতেও বই পড়ার অভ্যাস দারুণভাবে কাজ করে। আসলে বই এবং শরীরের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। যে কারণে বই পড়লে তার সুফল শরীরেও পড়ে। যেমন:-

মানসিক শান্তি মেলে

সারা দিন কাজের পর ৬০-৭০ শতাংশ মানুষই মন-মেজাজ ভালো করতে টিভি দেখে থাকেন। কিন্তু তাতে কি সত্যিই মন শান্ত হয়? গবেষণা তো উল্টো কথা বলছে। বিজ্ঞানের কথা যদি শোনেন, তাহলে মন এবং মস্তিষ্কের ক্লান্তি দূর করতে টেলিভেশনের পরিবর্তে বইয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতান। দেখবেন বেশি উপকার পাবেন। তাছাড়া টিভি দেখলে শরীরের কোনো উপকার হয় না, যা বই পড়লে হয়।

আরো পড়ুন : শিশুর শিক্ষাজীবনের শুরু আনন্দময় করে তোলার টিপস

স্ট্রেস কমে যায়

পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমান প্রজন্ম বেশি মাত্রায় ভুগছে মানসিক চাপে। আর বই পড়ার অভ্যাস এমন ধরনের সমস্যাকে কমাতে দারুণ কাজে আসে। কীভাবে এমনটা হয়? একাধিক কেস স্টাডিতে এ কথা প্রমাণিত হয়েছে যে, বই পড়ার সময় মন খুব শান্ত হয়ে যায়। ফলে মানসিক চাপ কমতে শুরু করে। তাইতো ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রতিদিন ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা পছন্দের যে কোনো বই পড়ার অভ্যাস করুন।

মনোযোগ বাড়ে

কর্মক্ষেত্রে হোক, কী পড়াশোনায়, যেকোনো কাজে উন্নতি করতে গেলে মনোযোগ সহকারে সেই কাজটি করা প্রয়োজন। না হলে যতই শ্রম দেয়া হোক না কেন কাঙ্ক্ষিত ফল মিলতে অনেক সময় লেগে যায়। আর এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে বই। কারণ প্রতিদিন বই পড়লে ব্রেনের কর্মক্ষমতা বাড়ে। 

স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে

স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটি যত বাড়বে, তত স্মৃতিশক্তির ওপর কুপ্রভাব পড়বে। আর যদি ঠিক সময়ে মানসিক চাপকে নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারেন, তাহলে কিন্তু বিপদ। সেক্ষেত্রে মনে রাখার ক্ষমতা এতটাই কমে যাবে যে দৈনন্দিন জীবন ব্যাহত হতে শুরু করবে। স্ট্রেস তো থাকবেই, তাহলে উপায়? প্রতিদিন কম করে ৩০ মিনিট বই পড়ুন। এমনটা করলেই দেখবেন স্ট্রেস কমবে। অন্যদিকে স্মৃতিশক্তি আরও মজবুত হবে।

মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি

বই পড়ার সময় ব্রেনের মধ্যে থাকা হাজারো নিউরন বেশি বেশি করে কাজ করতে শুরু করে দেয়। ফলে সার্বিকভাবে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। আর এমনটা হলে একদিকে যেমন বুদ্ধির বিকাশ ঘটে, তেমনি নানা ধরনের ব্রেন ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।

এস/ আই.কে.জে/      


বই

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250