মঙ্গলবার, ২১শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৬ই কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে প্রধান উপদেষ্টাকে ৬ আন্তর্জাতিক সংগঠনের চিঠি *** জন্ম নিয়েই বাপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ো না—এনসিপি নেতাদের গোলাম পরওয়ার *** দীপাবলিতে ভারতীয়দের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশি হাইকমিশনের ভিডিও প্রকাশ *** ভারতের সঙ্গে ১০ চুক্তি বাতিলের তথ্য প্রকাশ, যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা *** ‘জামায়াত ও আ. লীগ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ’ *** সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত ও আ.লীগের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান *** সংখ্যালঘুদের বিপদে ফেলবেন না, সরকারকে মির্জা ফখরুল *** বড় পুঁজির স্বপ্ন দেখা শ্রীলঙ্কাকে ২০২ রানে থামাল বাংলাদেশ *** সালমান শাহর মৃত্যুর ২৯ বছর পর হত্যা মামলা করার নির্দেশ *** নির্বাচনে সেনা এক লাখ, পুলিশ দেড় লাখ ও ছয় লাখ আনসার মাঠে থাকবে

বই মেলায় কেন কমছে বই বিক্রি? কী বলছেন প্রকাশক ও ক্রেতারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০১:৩৮ অপরাহ্ন, ২৪শে ফেব্রুয়ারি ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

অধিবর্ষ হওয়ায় এবার ফেব্রুয়ারি শেষ হবে ২৯ দিনে। এর পরের দুই দিনই শুক্র ও শনিবার। তাই মেলার সময় ওই দুই দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন প্রকাশকরা। তাদের দাবি, এবার বেচা-বিক্রি ভালো হয়নি। ছুটির দুই দিন মেলার সময় বাড়াতে পারলে বই বিক্রি বাড়তে পারে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মেলার সময় দুদিন বাড়ানোর আবেদন জানিয়ে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালককে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক বিক্রেতা সমিতি।

চিঠিতে বলা হয়, প্রথম তিন দিন প্রস্তুতি ও বৃষ্টির কারণে মেলায় অংশ নেওয়া প্রকাশকরা যথাযথভাবে বিক্রি শুরু করতে পারেননি। সে কারণে অনেকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আগামী ১, ২ মার্চ শুক্রবার ও শনিবার হওয়ায় অমর একুশে বইমেলার সময় বাড়ানোর অনুরোধ করা হয়েছে চিঠিতে।

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রকাশকদের দাবি নিয়ে সব মহলে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ভিড় থাকলেও বই বিক্রি কম

মেলায় উপচেপড়া ভিড় কিন্তু বিক্রির অবস্থা নাজুক। প্রকাশকদের ভাষ্য, মানুষ এখন আর বই কিনে না। দিন যত যাচ্ছে বইয়ের পাঠক কমছে। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার বই বিক্রি সবচেয়ে কম হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, এরকম চলতে থাকলে নিয়ম পালনের মেলা হয়তো হবে, তবে পাঠক খুঁজে পাওয়া যাবে না। ফলে একসময় প্রকাশনীগুলোও টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়বে।

পরিস্থিতি পুরোপুরি তুলে ধরেন সংবাদ প্রকাশনীর বিক্রয় কর্মী রাসেল মাহমুদ। তিনি বলেন, আপনি দশ মিনিট এখানে দাঁড়ান। দেখেন আমি এক সেকেন্ড স্থির হয়ে দাঁড়াতে পারি কিনা। সবাই বই চায়, দেখে…ছবি তুলে, তারপর চলে যায়। পঞ্চাশজন বই দেখতে চাইলে একজন কেনে, আবার কখনও কখনও সেটাও হয় না।

ঐতিহ্য প্রকাশনীর বিক্রয় কর্মী শাম্মী আক্তার বলেন, দেখেন এত এত মানুষ, কয়জনের হাতে বই আছে? সবার হাতে ফুল আছে, খাবার আছে, বেলুন আছে, শুধু বই নাই।

পাঠক তৈরি হচ্ছে না, তাই বেচা বিক্রিও ঠিক মতো হচ্ছে না–এমনটাই মনে করেন আহমেদ প্রকাশনীর প্রকাশক মেজবাহ উদ্দিন। তিনি বলেন, এভাবে চলতে থাকলে বইমেলা শুধু নামকাওয়াস্তে মেলা হয়েই থাকবে।

প্রতিবছরই বই বিক্রি কমছে- উল্লেখ করে অন্যপ্রকাশের কর্ণধার মাজহারুল ইসলাম বলেন, অর্থনৈতিক মন্দা এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে অনেকে মেলায় এসে বই কিনতে পারেননি। এবার এখনও পরিসংখ্যান জানি না, তবে ধারণা করছি যে আগের থেকে বিক্রি এবার আরও কম।

বাংলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গতবছর মোট ৪৭ কোটি টাকার বই কিনেছেন ক্রেতারা, আগের বছর এই সংখ্যাটা ছিল ৫২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

আমির হোসেন নামে একজন পাঠক বলেন, আসলে বইয়ের দামও অনেক বেড়ে গেছে। তাই ইচ্ছা থাকলেও বই কিনতে পারি না। অন্যদিকে প্রকাশকরা বলছেন, কাগজ, ছাপার খরচ,বাঁধাই সব কিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় বই প্রকাশের খরচও বেড়ে গেছে। তাই দাম বেশি রাখতে হচ্ছে।

আই. কে. জে/ 

বই মেলা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250