ত্রিপুরায় প্রবেশ করলে বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন ওই নারী। ছবি: এনডিটিভি
সীমান্ত পেরিয়ে ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে দেখা করতে ভারতে গিয়ে এখন ত্রিপুরায় জেলে বন্দী আছেন এক বাংলাদেশি নারী। আট মাস আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে তার পরিচয় হয় কর্ণাটকের ছেলে দত্ত যাদবের সঙ্গে। দেখা করতে ত্রিপুরায় প্রবেশ করলে বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন। তারপর জেলে মিলল ঠাঁই। অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার অভিযোগে যাদবকেও জেলে পাঠানো হয়েছে।
বগুড়ার পালসা গ্রামের বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সী গুলশানা আক্তার। গত বুধবার (৯ই জুলাই) ভিসা বা পাসপোর্ট ছাড়াই সীমান্ত দিয়ে ত্রিপুরায় প্রবেশ করেন। গুলশানাকে নিতে বেঙ্গালুরু থেকে সিপাহিজলা জেলার হরিহরদোলা সীমান্ত গ্রামে আসেন দত্ত যাদব। খবর এনডিটিভির।
বিএসএফ তাদের দেখতে পেয়ে আটক করে ত্রিপুরা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। বৃহস্পতিবার (১০ই জুলাই) তাদের আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের বিচারিক হেফাজতের আদেশ দেন। পুলিশ পাসপোর্ট আইন, বিদেশি আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধি সংহিতা (বিএনএস), ২০২৩ অনুযায়ী পৃথক মামলা করেছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে পুলিশের বরাতে জানানো হয়, গুলশানা আগে মুম্বাইয়ের একটি বিউটি পার্লারে এবং পরে বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। সেখানেই কর্ণাটকের বিদার জেলার বাসিন্দা দত্ত যাদবের সাথে তার পরিচয় হয়। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে গুলশানা বাংলাদেশে ফিরে এলেও যাদব তাকে ভারতে ফিরিয়ে নিতে চান।
ত্রিপুরা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা তদন্ত করছি। ওই নারীকে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হতে সাহায্য করা হয়েছে কী না, আমরা এটাও জানার চেষ্টা করছি যে, ঘটনাটি মানব পাচার চক্রের অংশ কী না। প্রয়োজনে আমরা পরে তাদের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানাতে পারি।’
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন