ছবি: সংগৃহীত
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের যুগীরাহাট গ্রামের গ্রাহক শাহ আলম। প্রতি মাসে তার বিদ্যুৎ বিল আসত ৬ শ থেকে ৮ শ টাকা। গত আগস্ট মাসে তার ডিজিটাল মিটার পরিবর্তন করে প্রি-পেইড বসানো হয়েছে। এরপর চলতি মাসে পুরোনো বিল হিসাবে তার বিল এসেছে ৯২ হাজার টাকা।
শুধু শাহ আলমই নন, একইভাবে ভুতুড়ে বিল দেওয়া হয়েছে নতুন করে প্রি-পেইড মিটার নেওয়া গ্রাহকদের। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রি-পেইড মিটারের গ্রাহকেরা। তারা সমাধানের আশায় প্রতিদিন ভিড় করছেন পিডিবির কার্যালয়ে।
জানা গেছে, চৌদ্দগ্রামে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (পিডিবি) সাড়ে ১৩ হাজার প্রি-পেইড গ্রাহকের ঘাড়ে ভুতুড়ে বিল চাপিয়ে দিয়েছে পিডিবির চৌদ্দগ্রাম আঞ্চলিক অফিস। তবে আবাসিক প্রকৌশলী ওহিদুর রহমান এর দায়ভার না নিয়ে দোষ চাপিয়ে দিচ্ছেন মিটার রিডারদের ওপর।
চৌদ্দগ্রাম পিডিবি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এখানে প্রায় ২০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। চলতি বছরের আগস্ট মাসে ডিজিটাল মিটার প্রজেক্ট প্রকল্পের অংশ হিসেবে গ্রাহকদের পোস্ট পেইড মিটার বাতিল করে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কার্যক্রম শুরু হয়।
শুরুতে এ কার্যক্রমের জন্য গ্রাহকেরা বাধা দিলেও পিডিবির কর্মকর্তাদের হুমকি-ধমকির কারণে প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করতে বাধ্য হন। এখন পর্যন্ত ১৩ হাজার ৫ শ গ্রাহক প্রি-পেইড মিটার নিতে বাধ্য হয়েছেন। আর এসব গ্রাহককেই ভুতুড়ে বিলের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। এ নিয়ে গত রোব ও গতকাল সোমবার (২২শে আগস্ট) ভোগান্তির স্বীকার গ্রাহকদের অভিযোগের জন্য উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে পিডিবি কার্যালয়ে।
পিডিবি কার্যালয় জানিয়েছে, প্রি-পেইড মিটারে ১ হাজার কিলোওয়াট পর্যন্ত ধারণক্ষমতা রয়েছে। এর বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার হলে এই মিটারগুলো ব্লক হয়ে যাবে। পিডিবির দাবি, এতে করে গ্রাহকের বিদ্যুৎ খরচ কমে আসবে।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন