ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বছরের মে মাসে পাকিস্তান-ভারতের মধ্যে সংঘর্ষে ভূপাতিত যুদ্ধবিমানের সংখ্যা নিয়ে নতুন দাবি করেছেন। এবার তিনি আগের সংখ্যা থেকে সংশোধন করে জানিয়েছেন, ‘মূলত আটটি’ বিমান ধ্বংস হয়েছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ই নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে জিও নিউজ।
চলতি বছরের শুরুর দিকে জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগাম এলাকায় পর্যটকদের ওপর এক সন্ত্রাসী হামলার পর দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ পাকিস্তান ও ভারত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সামরিক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। হামলায় ২৬ জন নিহত হন।
নয়াদিল্লি দাবি করেছিল, পাকিস্তান ওই হামলাকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে, তবে ইসলামাবাদ অভিযোগ অস্বীকার করে নিরপেক্ষ তদন্তে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব দেয়।
সংঘর্ষ চলাকালে পাকিস্তান সাতটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান—যার মধ্যে তিনটি ছিল রাফাল এবং বহু ড্রোন ভূপাতিত করে। অন্তত ৮৭ ঘণ্টা স্থায়ী ওই সংঘর্ষ শেষ হয় ১০ই মে, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির মাধ্যমে।
গত বুধবার (৫ই নভেম্বর) মায়ামিতে আমেরিকা বিজনেস ফোরামে দেওয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, কিছু পত্রিকা জানিয়েছিল পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের সময় সাত বা আটটি বিমান ভূপাতিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘একটি পত্রিকা লিখেছে সাতটি বিমান ভূপাতিত হয়েছে, আরেকটি বলেছে একটি ক্ষতিগ্রস্ত। আমি কোনো পত্রিকার নাম বলব না—বেশিরভাগই ভুয়া খবর ছাপে। কিন্তু সত্যি কথা হলো, মূলত আটটি বিমান ভূপাতিত হয়েছিল।’
মে মাসের ওই সংঘর্ষের প্রসঙ্গ টেনে ট্রাম্প আরও বলেন, তিনি তখন পাকিস্তান ও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তুতিতে ছিলেন, কিন্তু শুনতে পান যে দুই দেশ যুদ্ধের মুখে।
‘আমি তখন দুই দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করছিলাম। এরপর একটি পত্রিকার প্রথম পাতায় পড়লাম—তারা যুদ্ধ করতে যাচ্ছে। সাত বা আটটি বিমান ভূপাতিত হয়েছে। মূলত আটটি বিমান,’ বলেন ট্রাম্প।
তিনি আরও জানান, পাকিস্তান ও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি বাতিলের হুমকি দেওয়ার পর উভয় দেশ শান্তিতে রাজি হয়।
‘আমি বলেছিলাম, যদি তারা যুদ্ধ করে, তাহলে কোনো বাণিজ্য চুক্তি হবে না। পরে তারা ফোন করে বলল, শান্তি চাই। আমি বললাম, ধন্যবাদ, এখন চুক্তি করি—দারুণ না?’—যোগ করেন ট্রাম্প।
গত মাসেও ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘সাতটি একেবারে নতুন ও সুন্দর বিমান ভূপাতিত হয়েছে’ পাকিস্তান-ভারত সংঘর্ষে, যা ভারতীয় পক্ষের বড় ক্ষতি হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।
তিনি আরও দাবি করেন, ওই সংঘর্ষে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় তার ব্যক্তিগত ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ এবং তিনি ‘একাই এক সম্ভাব্য পারমাণবিক যুদ্ধ ঠেকিয়েছিলেন।’
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন