ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মধ্যেই ইসলামাবাদ সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নিচ্ছে। এ সিদ্ধান্ত সেনাবাহিনীকে আরও ক্ষমতা দিতে পারে বলে ধারণা করেছেন অনেক। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার শিগগিরই পার্লামেন্টে ২৭তম সাংবিধানিক সংশোধনী বিল উপস্থাপন করবে বলে নিশ্চিত করেছে। খবর এনডিটিভির।
পাকিস্তানি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংশোধনীতে সংবিধানের ২৪৩ অনুচ্ছেদে পরিবর্তনের প্রস্তাব রয়েছে—যা সেনাপ্রধান নিয়োগ ও সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত। এছাড়া সাংবিধানিক আদালত গঠন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের প্রক্রিয়া সহজ করা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুনর্বহাল এবং বিচারকদের বদল সংক্রান্ত ধারা যুক্ত করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
আরও একটি বিতর্কিত প্রস্তাব হলো- প্রদেশগুলোর ভাগ কমানো এবং শিক্ষা ও জনসংখ্যা মন্ত্রণালয়কে প্রাদেশিক সরকার থেকে কেন্দ্রের অধীনে আনা। এতে প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
সাবেক সিনেটর মুস্তাফা নওয়াজ খোখার বলেছেন, এই সংশোধনীর মাধ্যমে ‘নতুন কমান্ডার-ইন-চিফ’ পদ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে, যা বেসামরিক কাঠামোকে সম্পূর্ণভাবে সেনা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবে।
পিপিপি নেতা রেজা রাব্বানি সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন, এটি ২০১০ সালের ১৮তম সংশোধনীর মাধ্যমে অর্জিত প্রাদেশিক ক্ষমতা হ্রাস করবে।
সরকার জাতীয় পরিষদে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন পেলেও সিনেটে প্রয়োজনীয় ভোট পেতে কিছু বিরোধী দলের সহযোগিতা লাগবে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এই বিলের বিরোধিতা করার ঘোষণা দিয়েছে।
ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল করা হয়। এরপর থেকে তিনি দেশ-বিদেশে প্রভাব বিস্তার করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকেও প্রশংসা পেয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন