ছবি: সংগৃহীত
লন্ডনের মেয়র সাদিক খান বলেছেন, স্বল্প পরিমাণ প্রাকৃতিক গাঁজা রাখার অপরাধে শাস্তি লাঘবের বিষয়টি সরকারকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত। আজ বুধবার (২৮শে মে) প্রকাশিত একটি স্বাধীন প্রতিবেদনকে ভিত্তি করে তিনি এমন মত দেন। তার মতে, প্রতিবেদনটি একটি ‘প্রমাণভিত্তিক, গ্রহণযোগ্য যুক্তি’ তুলে ধরেছে। খবর স্কাই নিউজের।
স্কাই নিউজ জানিয়েছে, বর্তমানে ব্রিটেনের আইন অনুযায়ী, গাঁজা একটি ‘বি’ শ্রেণির মাদক হিসেবে বিবেচিত। এর ফলে কেউ গাঁজাসহ ধরা পড়লে তাকে জরিমানা কিংবা কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়। ২০২২ সালে মেয়র সাদিক খানের উদ্যোগে গঠিত ‘লন্ডন ড্রাগস কমিশন’ (এলডিসি) এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—বর্তমান আইন গাঁজার প্রকৃত ক্ষতির তুলনায় অতিরিক্ত কঠোর।
এলডিসি-এর প্রতিবেদনে উঠে এসেছে—বিশ্বজুড়ে গাঁজা নিয়ন্ত্রণে যেভাবে আইন প্রয়োগ করা হয়, তা পর্যালোচনার পর দেখা গেছে, গাঁজা নিয়ে পুলিশের নজরদারি অনেকাংশেই নির্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠীর ওপর কেন্দ্রীভূত। এর ফলে পুলিশের সঙ্গে এসব জনগোষ্ঠীর সম্পর্কের অবনতি ঘটছে।
প্রতিবেদনটিতে গাঁজার পূর্ণ বৈধতার কথা বলা হয়নি, বরং প্রাকৃতিক গাঁজাকে বর্তমান ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার আইন’ থেকে সরিয়ে ‘মনোসক্রিয় বস্তু আইন’-এর আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়েছে। এতে করে ব্যবহারের জন্য সীমিত পরিমাণ প্রাকৃতিক গাঁজা রাখা আইনসংগত হবে, যদিও আমদানি, উৎপাদন ও সরবরাহ নিষিদ্ধই থাকবে।
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন