গত শনিবার (৭ই জুন) থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসে চলছে অভিবাসন নীতিবিরোধী বিক্ষোভ। ছবি: এএফপি
“আমার প্রশাসন লস অ্যাঞ্জেলেসকে ‘স্বাধীন’ করবে।" অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে লস অ্যাঞ্জেলেসে চলমান বিক্ষোভ এবং সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তের পক্ষে এভাবেই জোরালো সাফাই গেয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এ সিদ্ধান্তকে বিরোধীরা ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অতিপ্রতিক্রিয়া’ হিসেবে সমালোচনা করেছেন। খবর এএফপির।
গতকাল মঙ্গলবার (১০ই জুন) সেনাদের সম্মানে নর্থ ক্যারোলিনার ফোর্ট ব্র্যাগ সামরিক ঘাঁটিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় নিজের অবস্থান এভাবে পরিষ্কার করে তুলে ধরেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের সেনারা দূর-দূরান্তের যুদ্ধে নিজেদের রক্ত বিসর্জন দেননি—এ দেশকে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও তৃতীয় বিশ্বের বিশৃঙ্খলার হাতে নষ্ট হতে দেখার জন্য।’
লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভ সামাল দিতে সেনা মোতায়েন নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হলেও ট্রাম্প তার ভাষণে একে আমেরিকার সার্বভৌমত্ব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে তুলে ধরেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার পরিস্থিতিকে ‘শান্তি, জনশৃঙ্খলা এবং জাতীয় সার্বভৌমত্বের ওপর সম্পূর্ণ আক্রমণ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার ভাষায়, ‘বিদেশি পতাকা বহনকারী দাঙ্গাকারীদের’ মাধ্যমে এ হামলা চালানো হচ্ছে।
ট্রাম্প এরই মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলেসে ৭০০ মেরিন সেনা ও ৪ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন। এ সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এটি ছিল ফেডারেল সম্পত্তি ও কর্মীদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।’
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন