ছবি: সংগৃহীত
অপহরণের পাঁচ ঘণ্টা পর অপহরণকারীদের হাত থেকে বুদ্ধির জোরে উদ্ধার পেয়েছে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। শনিবার (১৮ই অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চট্টগ্রামের বাকলিয়া এক্সেস সড়ক সংলগ্ন এলাকায় এ অপহরণের ঘটনা ঘটে।
অপহরণের শিকার হওয়া ওই ছাত্রের নাম আমিরুল ইসলাম ইলহাম। সে চট্টগ্রাম সরকারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। সে সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি সৈয়দ ফোরকান আবুর ছেলে।
অপহরণের শিকার ইলহাম বলে, ‘আমাকে তারা এক জায়গায় নিয়ে বসিয়ে রাখে। অনেকক্ষণ হলেও আসতে দেয়নি। তারা বলছে আব্বুকে টাকা দেওয়ার জন্য। পাশে ফোন করতে যাওয়ার কথা বলে আমি ওখান থেকে সরে পড়ি’।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ইলহামের বাবা সাংবাদিক সৈয়দ ফোরকান আবু বলেন, সকাল সাড়ে ৮টায় কোচিং সেন্টারে যেতে ঘর থেকে বের হয় ইলহাম। সে বাকলিয়া এক্সেস সড়কের সামনে থেকে টমটমে ওঠে। টমটমটি কিছুদূর যাওয়ার পর চালকের সহায়তায় ভেতরে থাকা এক অপহরণকারী ইলহামের চোখ-মুখ বেঁধে উঠিয়ে নিয়ে যায়।
দুপুর দেড়টা দিকে অপহরণকারীরা তাকে একটি মোবাইল ফোনের দোকানে নিয়ে যায়। তারা ইলহামকে অপহরণের কথা জানিয়ে তার পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। অপহরণকারীদের এসব কথাবার্তার ফাঁকে ইলহাম কৌশলে দোকান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে বাসায় চলে আসে।
এ ঘটনার পর ছেলের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন জানিয়ে সাংবাদিক সৈয়দ ফোরকান আবু বলেন, প্রশাসনের প্রতি আমার একটাই দাবি, যারা এই অপহরণ চেষ্টার সঙ্গে জড়িত তাদের যেন চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হয়।
সিএমপির বাকলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল কাদের জানান, তিনি অপহরণের শিকার হওয়া ওই শিক্ষার্থীর বাসায় গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন। অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন