ছবি: সংগৃহীত
কাতারের রাজধানী দোহায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের নেতাদের ওপর ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে আরব ও ইসলামি দেশগুলো। দোহায় আরব ও ইসলামি দেশগুলোর জরুরি সম্মেলনে
একে ইসরায়েলের ‘কাপুরুষোচিত’ হামলা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেননি। খবর আল জাজিরার।
দোহায় অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) ‘যৌথ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা চালু করার’ বিষয়ে অঙ্গীকার করা হয়েছে। এটাকেই এ সম্মেলনের সবচেয়ে বাস্তব পদক্ষেপ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। তিনি তার দেশে ইসরায়েলের বোমা হামলাকে নির্লজ্জ এবং কাপুরুষোচিত উল্লেখ করে সমালোচনা করেন।
সম্মেলনে জিসিসির সদস্যদেশ বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছে। জিসিসির সদস্যদেশগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ চুক্তি করা হয়েছে।
শেখ তামিম তার উদ্বোধনী বক্তৃতায় বলেন, ‘আমার দেশের রাজধানীতে হামাস নেতাদের পরিবার এবং তাদের আলোচক দলের বাসস্থানকে নিশানা করে ভয়াবহ হামলা চালানো হয়েছে।’ ওই হামলার সময় হামাস নেতারা গাজায় আমেরিকা–সমর্থিত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছিলেন।’
শেখ তামিম বলেছেন, ‘ইসরায়েল সরকারের ক্ষমতার দম্ভ, অহংকার এবং রক্তপিপাসু অবস্থার কারণে যা ঘটে গেছে এবং এখনো যা ঘটছে, তা মোকাবিলায় সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।’
কাতারের আমির মনে করেন, মধ্যস্থতাকারী দেশের ওপর হামলার ঘটনায় এটাই প্রমাণ হয়, সত্যিকার অর্থে ইসরায়েলের শান্তি প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা নেই। দেশটি গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনা বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধে ইতিমধ্যেই ৬৪ হাজার ৮০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ মুহাম্মদ আল-আনসারি বলেছেন, জিসিসির সদস্যদেশের সামরিক সংস্থাগুলো ইতিমধ্যে উপসাগরীয় অঞ্চলে প্রতিরক্ষা শক্তি বৃদ্ধি করার বিষয়ে আলোচনা করছে। শিগগিরই দোহায় এই জোটের সমন্বিত সামরিক কমান্ডের বৈঠক হওয়ার কথা।
নতুন প্রতিরক্ষাব্যবস্থার বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি। এই ব্যবস্থায় বলা হয়েছে, একটি সদস্যদেশের ওপর হওয়া হামলাকে সব সদস্যদেশের ওপর হামলা হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
কাতারের মুখপাত্র আল-আনসারি আল–জাজিরাকে বলেন, ‘জিসিসির যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সদস্যদেশগুলোর নিরাপত্তা এবং সমন্বিত প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে আরও পদক্ষেপ নেওয়ার লক্ষ্যে দোহায় উচ্চ কমান্ডের একটি বৈঠক হবে। আল–আনসারি আরও বলেন, ‘জিসিসির সব দেশ এক কাতারে আছে।’
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন