শুক্রবার, ৩রা অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৭ই আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ৪৭ দেশের ৪৪৩ স্বেচ্ছাসেবীকে অপহরণ করেছে ইসরায়েল *** মর্ত্য ছেড়ে কৈলাসে ফিরলেন দুর্গতিনাশিনী *** শহিদুল আলমের জাহাজ এখনো আটক হয়নি, দিলেন ভিডিওবার্তা *** পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শুরু *** এনসিপিকে শাপলা দিলে মামলা করব না, তবে ইসি দিতে পারে না: মান্না *** শুধু থালাবাটি নয়, এনসিপির জন্য আছে লাউ-বেগুন-কলাসহ ৫০ প্রতীক *** ঝড় উপেক্ষা করে গাজার পথে ফ্লোটিলা, শহিদুল আলমের ভিডিও বার্তা *** ইসরায়েলি সব কূটনীতিককে কলম্বিয়া থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ প্রেসিডেন্ট পেত্রোর *** এআই ‘অভিনেত্রী’-কে ঘিরে যে কারণে তীব্র সমালোচনা, ক্ষুব্ধ হলিউড তারকারা *** ফ্লোটিলা থেকে আটক ২২৩ জনকে ইউরোপে পাঠাবে ইসরায়েল, জাহাজগুলোর ভাগ্য অনিশ্চিত

জাতিসংঘ প্রস্তাব ব্যবহার করে তাইওয়ান আক্রমণের আইনি ভিত্তি তৈরি করছে চীন: তাইপে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৬:০৫ অপরাহ্ন, ২রা অক্টোবর ২০২৫

#

প্রতীকী ছবি

তাইওয়ান গতকাল বুধবার (১লা অক্টোবর) অভিযোগ করেছে, বেইজিং ‘এক চীন নীতি’র পুনরুল্লেখ করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের একটি প্রস্তাবকে ব্যবহার করে ‘ভবিষ্যতে সামরিক আগ্রাসনের আইনি ভিত্তি তৈরি’ করতে চাইছে। তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

চীনের জারি করা নথিতে বলা হয়, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব–২৭৫৮ পুরোপুরি ‘এক চীন নীতি’ প্রতিফলিত করে। ওই প্রস্তাবে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনকে জাতিসংঘে চীনের একমাত্র বৈধ প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। ফলে, এই প্রস্তাব অনুসারে, তাইওয়ান আলাদা স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে না।

তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, চীনের দাবি আসলে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে আন্তর্জাতিক সমাজকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা।’ এর মাধ্যমে তারা তাইওয়ান প্রণালির বর্তমান স্থিতাবস্থা বা স্ট্যাটাস–ক্যু বদলাতে চাইছে এবং ‘তাইওয়ানের বিরুদ্ধে ভবিষ্যৎ সামরিক আগ্রাসনের জন্য আইনি ভিত্তি তৈরি করছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘জাতিসংঘ ও অন্যান্য বহুপক্ষীয় আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় তাইওয়ানের ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে কেবলমাত্র তাইওয়ানের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার।’ মন্ত্রণালয়ের দাবি, জাতিসংঘের উক্ত প্রস্তাবে তাইওয়ানের নাম উল্লেখই নেই।

গত মঙ্গলবার (৩০শে সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত চীনা নথিতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের এই ‘প্রস্তাব স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, বিশ্বে একটি মাত্র চীন আছে এবং গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সর@কারের হাতেই গোটা চীনের বৈধ প্রতিনিধিত্ব রয়েছে, যার মধ্যে তাইওয়ান অঞ্চলও অন্তর্ভুক্ত। দুই চীন বা এক চীন, এক তাইওয়ান—বলে কিছু নেই।’

নথিতে আরও বলা হয়েছে, বেইজিং ‘স্বাভাবিকভাবেই পুরো চীনের সার্বভৌমত্ব ভোগ করে এবং তা প্রয়োগ করে, যার মধ্যে তাইওয়ান অঞ্চলও আছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও চীনের সমস্ত অধিকার ভোগ ও প্রয়োগ করে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকার।’

চীনের দাবি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে ১৯৪৫ সালেই তাইওয়ানের মর্যাদা ‘মৌলিকভাবে নির্ধারিত হয়েছিল।’ দেশটি বলেছে, সে সময়কার বিজয় ‘পাশ্চাত্যের কিছু রাজনীতিবিদের ভুয়া বর্ণনা দিয়ে খাটো করা যাবে না।’ চীন তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন প্রদেশ বলে মনে করে। তবে ১৯৪৯ সাল থেকে তাইপে এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছে এবং নিজেদের স্বাধীন বলে জোর দিয়ে বলছে।

জে.এস/

চীন তাইওয়ান

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250