ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের নিয়ন্ত্রণাধীন রকেট প্রস্তুতকারক সংস্থা স্পেসএক্সের একটি মহাকাশযানের কারণে সৃষ্ট তীব্র শব্দের কম্পনের কারণে পুরো ক্যালিফোর্নিয়াই যেন ভূমিকম্পের মতো কেঁপে উঠেছিল। খবর নিউজ উইকের।
গতকাল শনিবার (২৪শে মে) গভীর রাতে লস অ্যাঞ্জেলেসসহ ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন অংশে এ সনিক বুম শোনা যায়। ভিডিওতে রাতের আকাশে একটি লালচে-হলুদ রেখা দেখা যায় এবং এর সঙ্গে একটি বিকট শব্দও শোনা যায়।
‘ড্রাগন’ নামের মহাকাশযানটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে রসদ নিয়ে ফিরছিল। এ সময় এটির গতি শব্দের গতির চেয়ে অনেক বেশি ছিল রকেটটি মহাশূন্য থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার বায়ুমণ্ডলে পুনরায় প্রবেশের সময় সনিক বুম তৈরি করায় পুরো ক্যালিফোর্নিয়াই কেঁপে উঠে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে প্রথমে এটিকে ভূমিকম্প ভেবে ভুল করেন। এ ছাড়া একজন তো বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে বলেও ভেবেছিলেন। যদিও স্পেসএক্স এ বিষয়ে আগে থেকেই সতর্ক করেছিল।
লস অ্যাঞ্জেলেসের এক বাসিন্দা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লেখেন, ‘লস অ্যাঞ্জেলেসে কি এইমাত্র ভূমিকম্প হলো? কিন্তু কোনো কম্পন ছিল না। এটা সনিক বুমের মতো মনে হয়েছে। আমি ভেবেছিলাম আমার বাড়িতে কিছু একটা আঘাত করেছে! ভূমিকম্প।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে আরেক বাসিন্দা লিখেছেন, আমি তো শব্দ শুনে ভেবেছিলাম, সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এ বুঝি পাপ বেড়ে যাওয়ায় ‘স্রষ্টার বিচার’।
স্পেসএক্স বলেছে, ‘যখন ফ্যালকন রকেটের প্রথম ধাপের বুস্টার অবতরণের জন্য ফিরে আসে, তখন এর আকার এবং গতি মাটিতে একাধিক সনিক বুম তৈরি করে, যা বজ্রপাতের দ্বিগুণ শব্দের মতো শোনা যায়। নাসার স্পেস শাটলের প্রত্যাবর্তন এবং অবতরণের সময়ও একই ধরনের সনিক বুম শোনা গিয়েছিল।’
আইএসএস-এ রসদ সরবরাহের জন্য ব্যবহৃত স্পেসএক্স ড্রাগন একমাত্র মহাকাশযান যা কার্গো এবং যাত্রী উভয়কেই কক্ষপথে নিয়ে যেতে এবং নিরাপদে ফিরে আসতে পারে। ড্রাগন মহাকাশযানটি ৩২ তম আইএসএস ফ্লাইট থেকে ফিরছিল। এটি সেখানে ৩১ দিন অবস্থান করেছিল।
আরএইচ/