ছবি: সংগৃহীত
ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের ধর্মস্থলা মন্দিরে গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। অভিযোগ উঠেছে, ধর্ষণ ও হত্যার শিকারদের সেখানে গণকবর দেওয়া হতো। মন্দিরের সাবেক এক পরিচ্ছন্নতাকর্মীর বক্তব্যের পর বিষয়টি নিয়ে ভারতজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। খবর ইন্ডিয়া টুডের।
ওই কর্মীর দাবি, কয়েকশ মৃতদেহকে গণকবর দিতে তাকে বাধ্য করা হয়েছিল। মৃতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। তাদের শরীরে তিনি যৌন নির্যাতন ও আঘাতের চিহ্ন দেখেছেন। ওই কর্মী ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে এসব মরদেহ কবর দেন।
ওই পরিচ্ছন্নতাকর্মীর দাবি, নির্যাতনের কারণে মৃতদের গোপনে কবর দেওয়া হতো, নয়তো পুড়িয়ে দেওয়া হতো। প্রায় দুই দশক ধরে এমনটা চলেছে। এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ভারতজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিশেষ করে সমাজকর্মী ও আইনজীবীরা এ নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। তারা এ গণকবর নিয়ে তদন্ত করতে কর্ণাটক সরকারকে চাপ দিচ্ছেন।
তারা বলছেন, ঘটনার সঙ্গে ধর্মস্থলা মন্দিরের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জড়িত থাকতে পারেন। এ নিয়ে সোচ্চার হয়েছে কর্ণাটকের নারী কমিশনও।
গত ৩রা জুলাই সাবেক ওই কর্মী ধর্মস্থলা পুলিশ স্টেশনে গিয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেন। তার এ অভিযোগের পর ২০১২ সালের একটি ধর্ষণ ও হত্যার অমীমাংসিত মামলা আবারও সামনে এসেছে। তবে বিজেপি এটিকে ষড়যন্ত্র বলে বর্ণনা করেছে। রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপির নেতা বিএস ইয়াদিয়ুরাপ্পা বলেন, ‘ধর্মস্থলায় কোনো ধরনের অপকর্ম হয়নি। তদন্ত চাইলে তা করা হোক। এতে কোনো সমস্যা নেই।’
কর্ণাটকের নেত্রবতী নদীর কাছে ধর্মস্থলা তীর্থযাত্রীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার তীর্থযাত্রী যান। রাজনীতিবিদ ও সেলিব্রেটিদেরও দেখা যায়।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন