ছবি: সংগৃহীত
চিনি স্বাদে মিষ্টি হওয়ায় অনেকের প্রিয়। এটি তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। তবে অতিরিক্ত চিনি খাওয়া ওজন বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ ও দাঁতের সমস্যার মতো নানা রোগ তৈরি করতে পারে। তাই চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। মনে রাখা দরকার, সব ধরনের চিনি শরীরের জন্য সমান ক্ষতিকর নয়।
চিনিকে প্রধানত দুই ভাগ করা যায়—প্রাকৃতিক চিনি ও কৃত্রিমভাবে তৈরি চিনি। ফলসহ বিভিন্ন খাবারে যে চিনি স্বাভাবিকভাবে থাকে, তা প্রাকৃতিক চিনি। যেমন ফলে ফ্রুকটোজ ও দুধে ল্যাকটোজ নামে প্রাকৃতিক চিনি থাকে। এই চিনিগুলো সাধারণত ক্ষতিকর নয়।
এর সঙ্গে অন্যান্য উপকারী উপাদান; যেমন আঁশ, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন থাকে। অন্যদিকে, খাবারে আলাদা যোগ করা চিনি খাবার প্রক্রিয়াজাতের সময় আলাদাভাবে যোগ করা হয়। কোমল পানীয়, মিষ্টি, বিস্কুট, সিরিয়াল, ফ্লেভারড দই ইত্যাদিতে এই ধরনের চিনি থাকে।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের (এএইচএ) মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মার্কিন প্রতিদিন গড়ে ১৭ চা-চামচ বা ৭১ গ্রাম অতিরিক্ত চিনি খেয়ে থাকেন। এটি প্রস্তাবিত মাত্রার চেয়ে ৩ গুণ বেশি! অথচ প্রতিদিন পুরুষদের ৯ চা-চামচ আর নারীদের ৬ চা-চামচ চিনি খাওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে এএইচএ।
শিশুদের জন্য এই সীমা আরও কম, মাত্র ২৫ গ্রাম বা ৬ চা-চামচ। দুই বছরের নিচের শিশুদের চিনি যোগ করে না খাওয়াতে বলেছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অন্যান্য বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, দৈনিক ক্যালরির ১০ শতাংশের বেশি চিনি খাওয়া উচিত নয়। অর্থাৎ, কেউ যদি দিনে ২ হাজার ক্যালরি গ্রহণ করে, তাহলে তার সর্বোচ্চ ৫০ গ্রাম চিনি যথেষ্ট। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন আরও কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে।
জে.এস/
খবরটি শেয়ার করুন