ফাইল ছবি (সংগৃহীত)
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য ছিল ‘অভ্যন্তরীণ পরাধীনতামুক্ত’ রাষ্ট্র গঠন বলে জানিয়েছেন চিন্তক, লেখক, গবেষক, কবি ফরহাদ মজহার। শনিবার (২৬শে জুলাই) রাজধানীর বারিধারা ডিওএইচএসে সিরাজুল আলম খান সেন্টারের সেমিনার হলে যুব বাঙালি আয়োজিত ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ আসিফ ইকবালের স্মরণ’ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সভায় বক্তারা বলেন, দেশ পরিচালনায় বৈষম্য দূর করতে আমাদের পূর্বপুরুষেরা সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। স্বাধীনতা উত্তরকালে তৎকালীন ক্ষমতাসীনেরা আবার বৈষম্যমূলক ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও শাসনব্যবস্থা পুনর্বহাল করে। অভ্যন্তরীণ পরাধীনতার এই শৃঙ্খলা ভেঙে স্বাধীন দেশ উপযোগী রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও শাসনব্যবস্থা গড়ে তোলার সংগ্রাম গড়ে তোলেন প্রজন্মের পর প্রজন্ম।
তারা বলেন, ইতিহাসের পাতায় আমরা দেখি, ১৯৭২-৭৫ সালের ঔপনিবেশিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৭৬ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন এবং পরে দলীয় শাসনবিরোধী আন্দোলনের পথপরিক্রমায় ২০২৪ সালের জুলাই আগস্টের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান বৈষম্যমূলক শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে এক জাগরণ। এই আন্দোলনে আত্মাহুতি দিয়েছেন আমাদের সংগ্রামী সহযোদ্ধা শহীদ আসিফ ইকবাল।
রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি শ্রম-কর্ম-পেশার জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও শাসনব্যবস্থা বিনির্মাণে অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান বক্তারা।
শহীদ আসিফ ইকবাল ও গণ-অভ্যুত্থানের সব শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়। সমবেদনা জানানো হয় সব শহীদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি। যুব বাঙালি আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি রায়হান তানভীর। সঞ্চালনা করেন কাজী তানসেন।
আলোচনায় অংশ নেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক রহমান চৌধুরী, সাবেক ছাত্রলীগ (বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র) নেতা গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারী, জাতীয়তাবাদী যুব দলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ দিপু, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ, বিপ্লবী ছাত্র সংহতির সাধারণ সম্পাদক ফাইজুর রহমান মুনির, রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক লামিয়া ইসলাম প্রমুখ।
খবরটি শেয়ার করুন