শুক্রবার, ২৪শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৯ই কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** নির্বাচনে নিজস্ব সিদ্ধান্তেই সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করতে পারবে ইসি *** নাম বদলে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ হয়ে গেল ‘জাতীয় ছাত্রশক্তি’ *** দেড় বছর পর ওয়ানডে সিরিজ জয় বাংলাদেশের *** ঢাকা সফরে আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী *** আদালত যাদের পলাতক বলবেন তারা নির্বাচন করতে পারবেন না: আসিফ নজরুল *** নির্বাচনে প্রার্থীর দেশি-বিদেশি আয়ের তথ্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক *** সাপে কাটা রোগীদের জন্য হাসপাতালে বিশেষায়িত ওয়ার্ড চালু *** জিয়ার সরকারের মন্ত্রীর ছেলে আওয়ামী লীগে, যা বললেন বিশ্লেষক *** সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝটিকা মিছিলের ভিডিও, বাস্তবে তেমন কিছু না: ডিএমপি কমিশনার *** সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসিকে ৩৬ প্রস্তাব বিএনপির

বিশ্ব গরম চা দিবস আজ!

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন, ১২ই জানুয়ারী ২০২৫

#

ছবি : সংগৃহীত

অনেকেরই সকালে  ঘুম থেকে উঠে এক কাপ চা না হলে যেন দিনই ভালো যায় না। তবে চা প্রেমীরা ছাড়াও অন্যরাও আজ দিন শুরু করতে পারেন এক কাপ গরম চা দিয়ে। আজ ১২ই জানুয়ারি গরম চা দিবস। মজার ব্যাপার হলেও এটিই সত্যি! গরম চায়ের জন্যও রয়েছে দিবস। এমনই প্রচলন শুরু হয়েছে ২০১৬ সাল থেকে।

বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ১২ই জানুয়ারি বিশ্বের অনেক দেশে গরম চা দিবস বা ‘হট টি ডে’। ১৯৫০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে চা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হয়। আর ২০১৬ সালে এই কাউন্সিল হট টি ডে প্রচলন করে।

অবশ্য আন্তর্জাতিক চা দিবস হিসেবে পালিত হয় ২১শে মে তারিখটা। যদিও প্রথমে ১৫ই ডিসেম্বর ছিল বিশ্ব চা দিবস।

বাংলাদেশিদের চায়ের অভ্যাস শুরু হয় ব্রিটিশ শাসনামল থেকে। তখন স্থানীয় বাজারে চায়ের খুব বেশি চাহিদা ছিল না। বাগানের উৎপাদিত বেশিরভাগ চা ব্রিটেন রপ্তানি হতো। এছাড়া তখন এ অঞ্চলে থাকা ব্রিটিশ বা ইউরোপীয় লোকজন চা খেতেন, স্থানীয় অভিজাত গোষ্ঠীও চা খেতে শুরু করেছিলেন। তখনো বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে চায়ের জনপ্রিয়তা তৈরি হয়নি।

আরো পড়ুন : শীতে পার্টি জমুক হাঁসের নাগা রোস্ট দিয়ে!

ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯৪৭ সালে এ অঞ্চলে প্রায় ১৮ মিলিয়ন কেজির মতো চা উৎপাদিত হতো। তার প্রায় ১৫ মিলিয়নই রপ্তানি হতো, তিন মিলিয়ন কেজির মতো এখানে খাওয়া হতো। ১৯৭১ সালে সেই উৎপাদন এসে দাঁড়ায় ৩১ মিলিয়ন কেজিতে। সুতরাং বোঝা যায়, মানুষের মধ্যে চা খাওয়ার প্রতি আগ্রহ বাড়ছিল, চায়ের উৎপাদনও বাড়ছিল। ১৮০০ শতাব্দীর প্রথমভাগে ভারতবর্ষের আসাম ও আশপাশের এলাকায় চা চাষ শুরু হয়।

তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলী নদীর তীরে চা আবাদের জন্য ১৮২৮ খ্রিষ্টাব্দে জমি বরাদ্দ হয়। চট্টগ্রাম শহরে ১৮৪০ খ্রিষ্টাব্দে বর্তমান চট্টগ্রাম ক্লাবসংলগ্ন এলাকায় একটি চা বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যা কুণ্ডুদের বাগান নামে পরিচিত। ১৮৫৪ খ্রিষ্টাব্দে সিলেট শহরের এয়ারপোর্ট রোডের কাছে মালনীছড়া চা বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি চা-বাগান আছে মৌলভীবাজার জেলায়। এখানকার শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা ও রাজনগরে অনেক চা-বাগান দেখতে পাবেন। সিলেট ও হবিগঞ্জ জেলায়ও চমৎকার ও ঐতিহ্যবাহী কিছু চা-বাগান আছে। দেশের প্রথম চা-বাগান মালনীছড়ার অবস্থান সিলেট শহরেই।

ব্ল্যাক টি, গ্রিন টি, হোয়াইট টি, ওলং টি—সব ধরনের চা আসে ক্যামেলিয়া সিনেসিস নামের উদ্ভিদ থেকে। 

এস/ আই.কে.জে/

গরম চা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250