মঙ্গলবার, ২৯শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৪ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের ৩৪ হাজার শুন্য পদ পূরণে উদ্যোগ *** প্রাথমিক পর্যায়ে ঐকমত্যের খসড়া আজকালের মধ্যে পাবে রাজনৈতিক দলগুলো: আলী রীয়াজ *** মাইলস্টোনে বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমানটি নিয়ে এখনই মন্তব্য সমীচীন নয়—বললেন রাষ্ট্রদূত *** মানুষের নিরাপত্তা দিতে না পারলে সংস্কার কাজে আসবে না: ফখরুল *** রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনা অভিযান, অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার *** আড়াই লাখ মানুষ ঘর ছাড়া হওয়ার পর যুদ্ধবিরতিতে রাজি থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া *** হিন্দুপল্লির ২২টির মধ্যে ১৯টি পরিবার বর্তমানে নিজেদের বাড়িতে আছে: জেলা প্রশাসক *** মস্কো-পিয়ংইয়ং সরাসরি বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু হলো *** ভোগে প্রচারিত বিজ্ঞাপনে স্বর্ণকেশী মডেল কেন বিতর্ক ছড়াচ্ছে *** কিডনি ভালো রাখতে যে ৩টি খাবার খাবেন

সরকারি প্রণোদনায় বাড়ছে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৪:২৬ অপরাহ্ন, ২০শে আগস্ট ২০২৩

#

দেশে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ ধীরে ধীরে বাড়ছে। সরকার আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাতে পেঁয়াজ চাষ সম্প্রসারণে পৃষ্ঠপোষকতা করছে। পেঁয়াজের আবাদ ২০২২-২৩ অর্থবছরে বছরে ৮ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৭০০ হেক্টরে দাঁড়িয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) তথ্য অনুসারে, বিগত অর্থবছর কৃষকরা প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ মাঠ থেকে পেয়েছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের শস্য শাখার অতিরিক্ত পরিচালক রবিউল হক মজুমদার জানান, চলতি মৌসুমে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, 'খরিপ মৌসুমে পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে আমরা প্রণোদনা হিসেবে বীজ দেব।'

সাধারণত ১৫ মার্চ থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত খরিপ-১ ও ১৬ জুন থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত খরিপ-২ ধরা হয়। রবিউল হক মজুমদার বলেন, 'খরিপ-২ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের ফলন বেশি হয়।'

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, 'পেঁয়াজ চাষের প্রসার ও এর মাধ্যমে দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াতে সরকার কৃষকদের বিঘা প্রতি ৯ হাজার টাকা প্রণোদনা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।'

২০১৯ সালে ভারত পেঁয়াজের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর দেশে পেয়াজের দাম কেজিতে রেকর্ড ২৫০ টাকায় পৌঁছায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকার গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের সম্ভাবনা দেখে উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়, যাতে অক্টোবর নভেম্বর মাসে লিন পিরিয়ডে যখন শীতকালীন পেয়াজের মজুদ কমে তখন গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ দিয়ে দেশের চাহিদা মেটানো যায়।

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের হিসাব অনুসারে, দেশে প্রতি বছর প্রায় ২৫ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজের প্রয়োজন।

কৃষি কর্মকর্তা ও গবেষকরা জানান, মৌসুম শেষে পেঁয়াজের সরবরাহ মেটাতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ প্রসারে সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে।

পেঁয়াজ উৎপাদনের প্রধান কেন্দ্র ফরিদপুরের পেঁয়াজ চাষি শাহিদা বেগম জানান, দেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী জেলা মেহেরপুরের কৃষকরা গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করেন এবং তার পরিবার এ বছর গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ শুরু করেছেন।

আই.কে.জে/

সরকারি প্রণোদনায় বাড়ছে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন