মঙ্গলবার, ২৯শে জুলাই ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৪ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** প্রাথমিক পর্যায়ে ঐকমত্যের খসড়া আজকালের মধ্যে পাবে রাজনৈতিক দলগুলো: আলী রীয়াজ *** মাইলস্টোনে বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমানটি নিয়ে এখনই মন্তব্য সমীচীন নয়—বললেন রাষ্ট্রদূত *** মানুষের নিরাপত্তা দিতে না পারলে সংস্কার কাজে আসবে না: ফখরুল *** রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের আস্তানায় সেনা অভিযান, অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার *** আড়াই লাখ মানুষ ঘর ছাড়া হওয়ার পর যুদ্ধবিরতিতে রাজি থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া *** হিন্দুপল্লির ২২টির মধ্যে ১৯টি পরিবার বর্তমানে নিজেদের বাড়িতে আছে: জেলা প্রশাসক *** মস্কো-পিয়ংইয়ং সরাসরি বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু হলো *** ভোগে প্রচারিত বিজ্ঞাপনে স্বর্ণকেশী মডেল কেন বিতর্ক ছড়াচ্ছে *** কিডনি ভালো রাখতে যে ৩টি খাবার খাবেন *** প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি আজ

আরেক দফা যুদ্ধবিরতিতে ইসরায়েলের সম্মতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৪:৫৪ অপরাহ্ন, ২০শে ডিসেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের কব্জায় থাকা জিম্মিদের মুক্ত করতে উপত্যকায় দ্বিতীয় দফা যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ইসরায়েল। 

মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদিশাসিত ভূখণ্ডটির প্রেসিডেন্ট ইসাক হেরজগ মঙ্গলবার (২০ই ডিসেসম্বর) এক বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার হেরজগের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা। তাদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট বলেন, গাজায় অবরুদ্ধ জিম্মিদের মুক্ত করতে সেখানে আরেক দফা যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েল প্রস্তুত। এখন (পরবর্তী যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত) সব দায়দায়িত্ব নির্ভর করছে ইয়াহিয়া সিনওয়ার এবং হামাস নেতৃত্বের ওপর।

ইয়াহিয়া সিনওয়ার হামাসের শীর্ষ নেতাদের একজন। সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটির হাই কমান্ডের প্রায় সবাই কাতারে থাকেন; তবে সিনওয়ার থাকেন গাজায়। গত ৭ই অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা হয়েছিল, তার মূল পরিকল্পনাকারীও ছিলেন তিনি।

গত ৭ই অক্টোবর ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস যোদ্ধারা। তারপর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ২৮শে অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনীও।

ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ১৯ হাজার ৬৬৭ জন। এই নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী, শিশু,অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর-কিশোরী এবং বয়স্ক লোকজন।

সেই সঙ্গে আহত হয়েছেন আরো ৫২ হাজার ৫৮৬ জন ফিলিস্তিনি। এছাড়া হাজার হাজার পরিবার বাড়িঘর-সহায় সম্বল হয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বিভিন্ন স্কুল, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণে।

আরো পড়ুন: যুদ্ধ বন্ধ না হলে বন্দিবিনিময় আলোচনায় রাজি নয় হামাস

অন্যদিকে, হামাসের গত ৭ই অক্টোবরের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। পাশাপাশি, ইসরায়েলের ভূখণ্ড থেকে ২৪২ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিকদের সেদিন জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে গিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা।

এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১০৪ জন। বাকি ১৩৬ জনের মধ্যে আমেরিকা, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকরা রয়েছেন; এবং রয়েছেন শিশু, নারী, তরুণ-তরুণী এবং বৃদ্ধ-বৃদ্ধা— সব বয়সী মানুষ।

৭ দিনের অস্থায়ী বিরতির সময় নিজের কব্জায় আটক জিম্দিরে মধ্যে থেকে ১১৮ জনকে মুক্তি দিয়েছে হামাস; বিপরীতে এই সময়সীমায় ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ১৫০ জন প্যালেস্টাইন বন্দিকে।

সূত্র: এএফপি

এসকে/ 

ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি হামাস প্যালেস্টাইন

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন